এত পার্থক্য মুস্তাফিজের পারফরম্যান্সে!

Looks like you've blocked notifications!

তাঁর কাটার আগের মতো ব্যাটসম্যানের কাছে খুব একটা দুর্বোধ্য নয়। ঘনঘন ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে গিয়েছেন, কিছুটা কমে গেছে তাঁর বলের ধার। বলা হচ্ছে বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের কথা। কাটার ডেলিভারি এখন দিতে পারছেন কালেভদ্রে। গতি কমিয়েছেন রান আপ এবং বোলিংয়ে। ডেলিভারিগুলো হয়ে গেছে নির্বিষ।

চার বছরের মধ্যে মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারে ব্যাপক ছন্দপতন হয়েছে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে অভিষেকে দারুণ চমক দেখিয়েছিলেন তিনি। এক সিরিজে ১৩ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম বছরে ৯ ম্যাচে ২৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।

আগের সেই পারফরম্যান্স এখন আর দেখাতে পারছেন না মুস্তাফিজ। আয়ারল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুই উইকেট নিয়েছেন, কিন্তু ১০ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৮৪। পুরো ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রান তুলেছে ২৬১। ম্যাচে ওভারপ্রতি ৫.২২ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা, যেখানে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ৮.৪ করে রান প্রতি ওভারে।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৩০ রান তোলে। এই ম্যাচেও মুস্তাফিজ দুই উইকেট নেন। কিন্তু রান দেন ১০ ওভারে ৯৩, প্রতি ওভারে ৯.৩ রান করে।

একই সিরিজে মুস্তাফিজ প্রথম দুই ম্যাচে বেশ কম রান দেন, এক ম্যাচে ৯ ওভারে ৪২ ও আরেক ম্যাচে ৮ ওভারে ৩৬ রান। তবে এর ঠিক আগে জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুটি ওয়ানডে সিরিজে পাচঁটি ম্যাচ খেলেন মুস্তাফিজ। যেখানে পাঁচ ম্যাচে সাত উইকেট নেন তিনি। মোট ৪৮ ওভার বল করে ১৯৫ রান দেন, ৪.০৬ গড়ে।

বিবিসির এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই উপমহাদেশে মুস্তাফিজ যেমন পারফর্ম করছেন, এর বাইরে গিয়ে ঠিক তেমনটা পারছেন না তিনি। এই অঞ্চলে ২৭ ওয়ানডেতে ২১২.৫ ওভার বল করে ৯৭৮ রান দিয়েছেন মুস্তাফিজ। উইকেট পেয়েছেন ৫৬টি।

এশিয়ার বাইরে গিয়ে ঠিক তেমন পারফর্ম করতে পারছেন না মুস্তাফিজ। ১৬ ওয়ানডেতে ১২৯.৫ ওভার বল করে ৭৭৬ রান দিয়েছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন ২৩টি। এতেই বোঝা যায় তাঁর পারফরম্যান্সে কতটা পার্থক্য।