কোহলি-ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং-বীরত্ব
ওয়ানডেতে অনেক দিন পর বিরাট কোহলির ব্যাটে শতকের ঝলক। সময়ের হিসাবে আট মাস, আর ম্যাচ ধরলে ১৪টি পর। অথচ কোহলির বহু প্রতীক্ষার শতকের আনন্দ ম্লান করে দিয়ে আরেকটু হলে ভারতকে হারিয়েই দিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কও দারুণ এক শতক করেছেন, তবু দলের হার এড়াতে পারেননি। চতুর্থ ওয়ানডে ৩৫ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয়বারের মতো সমতা নিয়ে এসেছে ভারত। আগামী রোববার মুম্বাইয়ে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডের ওপরেই তাই সিরিজের ভাগ্য নির্ভর করছে।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে কোহলির ১৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস ৮ উইকেটে ২৯৯ রানের বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছিল ভারতকে। ১৪০ বলের ইনিংসটি ছয়টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় সাজানো। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৩তম আর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম শতকে কোহলি পৌঁছেছেন রাজসিক ঢঙে, ছক্কা মেরে।
জবাবে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাট জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকানদের। কিন্তু ১০টি চার ও দুটি ছক্কাসমৃদ্ধ ১০৭ বলে খেলা ১১২ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসও প্রোটিয়াদের হার এড়াতে পারেনি। পুরো ৫০ ওভার খেললেও অতিথিরা থেমে গেছে ৯ উইকেটে ২৬৪ রানে। কোহলির মতো ছক্কা মেরেই তিন অঙ্ক স্পর্শ করা ডি ভিলিয়ার্সের এটা ২২তম শতক, যা দক্ষিণ আফ্রিকানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অনেক দিন পর শতক পেয়ে কোহলি স্বাভাবিকভাবেই খুশি। তবে ম্যাচশেষে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ডি ভিলিয়ার্সের প্রশংসাই বেশি করলেন ভারতের টেস্ট অধিনায়ক, ‘শতক করে দলের জয়ের অবদান রাখতে পারা তো দারুণ ব্যাপার। তবে ডি ভিলিয়ার্সের ইনিংসটা ছিল অসাধারণ। খেলা শেষে ড্রেসিংরুমে তাঁকে বলেছি যে, তাঁর ব্যাটিংয়ের সময় আমি ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। সে অবিশ্বাস্য শট খেলছিল (ম্যাচটা জমিয়ে তোলার জন্য)। সব কৃতিত্ব তাঁরই। সে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে।’
এমন একটা ইনিংসের পরও দলকে জয় এনে দিতে না পারলে মন খারাপ হওয়ারই কথা। ডি ভিলিয়ার্স অবশ্য হতাশা ভুলে শেষ ম্যাচের দিকে তাকিয়ে, ‘ভীষণ কঠিন উইকেটে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটা। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত ছেলেদের লড়াই করার মানসিকতায় আমি মুগ্ধ। এখানেই সিরিজ জয় করে নেওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল আমাদের সামনে। আশা করি, এই ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে মুম্বাইয়ে নামতে পারব।’