পাকিস্তানকে হারিয়েই দুঃসংবাদ পেল ইংল্যান্ড
ব্রিস্টলে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে অসাধারণ এক জয় পায় ইংল্যান্ড। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৩৫৮ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ে পাকিস্তান। জিততে হলে ওয়ানডে ক্রিকেটের পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর তাড়া করার রেকর্ড গড়তে হতো ইংলিশদের। কিন্তু ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর ঝোড়ো সেঞ্চুরি এবং জেসন রয়ের মারকুটে ইনিংসের ওপর ভর করে বিশাল এই লক্ষ্য ৩১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় এউইন মরগ্যানের দল। সিরিজে এরই মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে তাঁর দল। কিন্তু ম্যাচ জয়ের পরপরই দুঃসংবাদ শুনেছে ইংল্যান্ড। ধীরগতির বোলিং রেটের কারণে চতুর্থ ওয়ানডে ম্যাচে নিষিদ্ধ হয়েছেন দলের অধিনায়ক এউইন মরগ্যান।
এর আগে এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচেও নির্ধারিত সময়ে বোলিং শেষ করতে পারেনি ইংল্যান্ড দল। মঙ্গলবার ব্রিস্টলে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ৫০ ওভার বোলিং শেষ করতে নির্ধারিত সময়ের বেশ অনেকটা সময় বেশি খরচ করে ফেলে ইংলিশরা। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এক পঞ্জিকাবর্ষের মধ্যে এমন অপরাধ দুবার করলে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে হয় ফিল্ডিং দলের অধিনায়ককে। সেই সাজাই ভোগ করতে হবে মরগ্যানকে। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ ম্যাচটা খেলতে পারবেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
তবে এউইন মরগ্যানকে শুধু এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেই ক্ষান্ত হয়নি আইসিসি। তাঁর ম্যাচ ফির ৪০ শতাংশও জরিমানা হিসেবে কেটে রাখা হবে। তবে সাজা কেবল অধিনায়ক একাই ভোগ করবেন না। ইংল্যান্ড দলের বাকি সব ক্রিকেটারকেও তাদের ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে নির্ধারিত সময়ের পরেও দুই ওভার বোলিং বাকি ছিল ইংল্যান্ডের। সেই দুই ওভার শেষ করতে বাড়তি সময় ব্যয় করে ইংলিশরা। অন্যদিকে, অধিনায়ক এউইন মরগ্যানের নিষেধাজ্ঞার পাশপাশি ব্রিস্টলের ম্যাচজয়ের নায়ক জনি বেয়ারস্টোকে আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ধারা-১ ভঙ্গের জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ২৯তম ওভার চলাকালীন ৯৩ বলে ১২৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলা বেয়ারস্টো পেসার জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হয়ে যান। আউট হওয়ার পরপরই মেজাজ হারিয়ে ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এমন আচরণের পর থার্ড আম্পায়ার ক্রিস গেফানিকে নিয়ে মাঠের দুই আম্পায়ার মাইকেল গফ ও পল রেইফেল ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ উত্থাপন করেন। ম্যাচশেষে শুনানিতে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ স্বীকার করেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান। তবে সতর্ক করার পাশাপাশি শৃঙ্খলাজনিত ধারায় একটি নেতিবাচক পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে বেয়ারস্টোর নামে।