যে কারণে ফাইনালে নেই সাকিব

আবার স্বপ্নছোঁয়ার একেবারের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আরেকটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে বাংলাদেশ। এর আগে ছয়টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেললেও সবকটিতেই হেরে যায় টাইগাররা। তাই সপ্তমবারের চেষ্টায় শিরোপা জেতার জন্য উন্মুখ মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। তবে ডাবলিনে অনুষ্ঠিত ফাইনালের আগে থেকেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ফাইনালে খেলবেন কি খেলবেন না। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে কোমরে চোট পাওয়া সাকিবের ব্যথা পুরোপুরি সেরে না ওঠায় সিদ্ধান্তটা তাঁর ওপরেই ছেড়ে দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত ফাইনালে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাইনালে তাই সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ দল। সাকিবের বদলে ফাইনালে সুযোগ পেয়েছেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের সময় পিঠের নিচে বাঁ পাশের পেশিতে চোট পান সাকিব। ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ হওয়ার পরপরই ব্যথায় টিকতে না পেরে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এরপর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসায় রাখা হয় তাঁকে।
তবে ব্যথা কিছুতেই কমছিল না সাকিবের। অধিনায়ক মাশরাফিও গতকাল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ব্যথা না কমায় সম্ভবত ফাইনালটা মিস করছেন সাকিব। গতকাল দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনেও যোগ দিতে পারেননি এই তারকা অলরাউন্ডার। সব মিলিয়ে আজ সকালে সর্বশেষ অবস্থা দেখে সাকিবকেই ফাইনাল খেলা না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে সামনেই বিশ্বকাপের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ আসর থাকাই টিম ম্যানেজমেন্ট ও সাকিব নিজে কোনো ঝুঁকি নিতে চাননি। মাত্রই ইনজুরি থেকে সেরে উঠেছেন সাকিব। এই সিরিজ দিয়েই প্রায় তিন মাস পরে দলে ফিরেছেন তিনি। বিশ্বকাপে যেকোনো মূল্যে পুরো ফিট এবং ঝরঝরে সাকিবকে চায় বাংলাদেশ। তাই আজকের ফাইনালে বিশ্রামের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।