এফএ কাপের শিরোপাও ম্যানসিটির
ভাগ্যের বিড়ম্বনায় এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে। সিটিকে ছিটকে দিয়ে ফাইনালে উঠে যায় টটেনহাম হটস্পার। তবে এরপরই প্রিমিয়ার লিগ আর এফএ কাপ জয়ের হুঙ্কার ছুড়েছিল সিটির খেলোয়াড়রা। কথামতো শনিবার রাতে ওয়াটফোর্ডকে ৬-০ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এর আগে লিগ কাপের শিরোপা জেতা সিটি কিছুদিন আগেই টানা দ্বিতীয়বার প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাও ঘরে তুলেছিল। এবার এফএ কাপ জিতে প্রথম ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে ইংলিশ ফুটবলের তিনটি প্রতিযোগিতারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়ল পেপ গার্দিওলার দল।
ম্যানসিটির জয়ের নায়ক স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিং। ইংলিশ এই স্ট্রাইকারের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে ওয়াটফোর্ডকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় সিটি। আর সেইসঙ্গে ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা এফএ কাপে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপাও নিশ্চিত করে সিটিজেনরা। স্টার্লিংয়ের হ্যাটট্রিকের ম্যাচে সিটির হয়ে অন্য তিনটি গোল করেন ডেভিড সিলভা, কেভিন ডি ব্রুইন ও গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ২৬ মিনিটেই এগিয়ে যায় ম্যানসিটি। স্টার্লিংয়ের হেড থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করে সিটিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে গার্দিওলার দল। গ্যাব্রিয়েল জেসুসের শটে শেষ মুহূর্তে পা ছুঁইয়ে সিটিকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন রহিম স্টার্লিং। এরপর কয়েকবার আক্রমণ করলেও প্রথমার্ধে আর গোল করতে পারেনি সিটি।
ম্যাচের ৬১ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন বেলজিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন। পাল্টা আক্রমণ থেকে জেসুসের পাসে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় ওয়াটফোর্ডের গোলরক্ষককে কাটিয়ে ব্যবধান ৩-০ করেন ডি ব্রুইন। সাত মিনিট পর আবার গোল। শুধু বলের জোগানদাতা আর স্কোরারের নাম অদল-বদল হয়ে যায়। এবারও পাল্টা আক্রমণ থেকে ডি ব্রুইনের বাড়ানো বলে প্লেসিং শটে গোল করে স্কোরশিটে নাম লেখান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
ম্যাচের শেষ ৯ মিনিটে আরো দুটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রহিম স্টার্লিং। ৮১ মিনিটে বার্নার্ডো সিলভার পাস থেকে প্লেসিং শটে গোল করে পাঁচ গোলের ব্যবধানে দলকে এগিয়ে নেন স্টার্লিং। ছয় মিনিট পর আবার গোল করেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে দুইবারের প্রচেষ্টায় গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করার পাশাপাশি ৬-০ গোলে দলের জয় নিশ্চিত করেন স্টার্লিং।