গ্রেপ্তার হলেন ম্যারাডোনা

বিতর্ক আর দিয়েগো ম্যারাডোনা যেন পাশাপাশি হাত ধরে হাঁটাহাঁটি করে চলা জুটি। খেলোয়াড়ি জীবনে মাঠে এবং মাঠের বাইরের বহু ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন এই ফুটবল জাদুকর। ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ চলাকালীন খেলোয়াড়ি জীবনটা শেষ হয়ও বিতর্কিত কাণ্ডে। এরপর বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন আলোচিত-সমালোচিত ঘটনার জন্ম দিয়ে নিয়মিত আলোচনায় এসেছেন আর্জেন্টাইন সাবেক এই ফুটবল তারকা। বিতর্কের ধারাবাহিক পরিক্রমায় সর্বশেষ সংযোজন হিসেবে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, বান্ধবী রোসিও অলিভার করা মামলায় বুয়েন্স আয়ার্সের বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তবে গ্রেপ্তার হলেও কারাগারে নেওয়া হয়নি ম্যারাডোনাকে। বান্ধবীর করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তবে মামলা-সংক্রান্ত একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। নোটিশে আগামী ১৩ জুন ওই মামলায় আদালতে বাধ্যতামূলক হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে।
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, ২০১২ সালে অলিভার সঙ্গে পরিচয় হয় ম্যারাডোনার। সোনালি চুলের এই নারী নিজেও ফুটবল খেলতেন একসময়। তাই দুজনের বয়সের পার্থক্য প্রায় ৩০ বছর হলেও সম্পর্কটা জমে যায়। দ্রুতই একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে যান। বান্ধবীকে বুয়েন্স আয়ার্সে একটি বাড়িও কিনে দেন ম্যারাডোনা। তবে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের একটি দলকে কোচিং করানোর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অধিকাংশ সময় মেক্সিকোতেই থাকতে হয় দিয়েগোকে। এ কারণে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়তে থাকে দুজনের। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে বান্ধবী অলিভার সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় ম্যারাডোনার।
ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯ মিলিয়ন ডলার বা ৭৬ কোটি টাকার মামলা ঠুকে দেন রোসিও অলিভা। সেই মামলার জেরেই মেক্সিকো থেকে আর্জেন্টিনায় ফেরার পথে গ্রেপ্তার করা হয় ৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনাকে।