মেয়েকে কবরে নামিয়ে মাঠের পথে বাবা

Looks like you've blocked notifications!

গত ১৯ মে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে পাকিস্তানের মারকুটে ব্যাটসম্যান আসিফ আলী যখন ব্যাট হাতে দলের জন্য লড়াই করছিলেন, তখন বহুদূরে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ক্যানসারের কাছে হেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তাঁর ১৯ মাস বয়সী মেয়ে। আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান আসিফ আলী। ম্যাচশেষে দ্রুত উড়ে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিউইয়র্কের হাসপাতাল থেকে মেয়ের মরদেহ নিয়ে পাকিস্তান চলে যান তিনি। ফয়সালাবাদে দাফন পর্ব শেষ করে শনিবার আবার পাকিস্তান দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।    

মেয়ের মৃত্যুর দিনই পাকিস্তানের পরিবর্তিত বিশ্বকাপ দলে ঢোকার সুসংবাদ পান আসিফ আলী। বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত পাকিস্তানের ১৫ সদস্যের প্রাথমিক দলে নাম ছিল না আসিফের। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্যসমাপ্ত সিরিজে ব্যাট হাতে  দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ওপেনার আবিদ আলীর পরিবর্তে চূড়ান্ত দলে ঢুকে যান ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু মেয়ের মৃত্যুশোক কাটিয়ে মারকুটে এই ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল সংশয়। তবে মেয়েকে হারালেও দেশের হয়ে খেলার ঘোষণা দেন আসিফ।

অবশেষে মেয়ের মৃত্যুশোক ভুলে শুক্রবার ইংল্যান্ডের পথে উড়াল দেন আসিফ আলী। শনিবার সেখানে পৌঁছে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। দেশত্যাগের আগে সদ্য হারানো মেয়েকে নিয়ে টুইটারে আবেগঘন এক স্ট্যাটাস দেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। নিজের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘নূর ফাতিমাকে (আসিফ আলীর প্রয়াত মেয়ে) আমি এক যোদ্ধা হিসেবে মনে রাখতে চাই। সে আমার শক্তি, আমার প্রেরণা। তাঁর স্মৃতির সুবাস আমার সারা জীবনের সঙ্গী হয়ে থাকবে। আমার রাজকুমারীর আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করতে সবাইকে আবারও অনুরোধ করছি। পাশে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, ১৯ মে নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আসিফ আলীর মেয়ে। তাঁর মেয়ের মৃত্যু সংবাদে সতীর্থরা ছাড়াও সমবেদনা জানান ক্রিকেট বিশ্বের অনেকেই। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ইমরান খানও টুইটারে আসিফ এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।