টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে না পাকিস্তান?
রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট-সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেই চলেছে। তারই জের ধরে আগামী বছরের ১১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নাও খেলতে পারে বলে ‘হুমকি’ দিয়েছে পাকিস্তান। আর তেমন হলে টি-টোয়েন্টির সেরা আসর যে অনেকখানি রং হারাবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আর কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেনি ভারত-পাকিস্তান। ক্রিকেটপ্রেমীরা বঞ্চিত হচ্ছেন উত্তেজনাপূর্ণ দ্বৈরথ থেকে। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার কথা ভারত ও পাকিস্তানের। এর মধ্যে প্রথম সিরিজটি হওয়ার কথা এ বছরের শেষ দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
গত সোমবার মুম্বাইয়ে বিসিসিআইর সদর দপ্তরে বিসিসিআই ও পিসিবি সভাপতির আলোচনা পণ্ড করে দিয়েছিল ভারতের হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন শিবসেনা। শিবসেনার দাবি, পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট-লড়াই বন্ধ রাখতে হবে। তাই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন নিয়ে আবার সংশয় দেখা দিয়েছে। শিবসেনার কারণেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের এশিয়া কাপ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান। আগামী বছরের ১৭ থেকে ২৪ জানুয়ারি ভারতের কোচিতে হওয়ার কথা এই প্রতিযোগিতা।
ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে দ্বিধান্বিত। পাকিস্তান তো এর ‘প্রতিশোধ’ নিতে চাইবেই! পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি শাহরিয়ার খান জানিয়েছেন, ‘ভারত যদি সব দরজা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদেরও সেভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, নীতি নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে এ ব্যাপারে। আমার তো মনে হয় সরকার আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে নিষেধই করবে।’