সাব্বিরের কাছে প্রতিটি ম্যাচই শেষ ম্যাচ!

Looks like you've blocked notifications!

তাঁর প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দলের প্রয়োজনে প্রায় সময় আলো ছড়ায় তাঁর ব্যাট। কিন্তু সেই আলোতে এখনো ধারাবাহিক হয়ে জাতীয় দলে জায়গা পোক্ত করতে পারেননি সাব্বির রহমান। এই বাস্তব সত্য সাব্বির নিজেও মেনে নিয়েছেন। যার কারণে প্রতিটি ম্যাচকেই নিজের শেষ ম্যাচ ধরে নিয়ে মাঠে নামেন এই হার্ডহিটার। পরের ম্যাচে সুযোগ পেতে চেষ্টা করেন নিজের সবটা ঢেলে দিতে।

আসন্ন বিশ্বকাপে শেষের দিকের ফিনিশার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল সাব্বিরকে। মূল একাদশে জায়গাটাও ছিল মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু সেই প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছেন বিকল্প হিসেবে স্কোয়াডে আসা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মোসাদ্দেক জানান দিয়েছেন, প্রয়োজনে জ্বলে ওঠেন তিনিও। তাতে চিন্তা বেড়েছে সাব্বিরের। সামনের দিকে জায়গা পেতে এখন প্রতিটি ম্যাচেই লড়তে হবে তাঁকে।

লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জটা সহজভাবে নিয়েছেন সাব্বির। প্রতিটি ম্যাচে নিজের সবটা দিয়ে লড়াইয়ের কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। রোববার পাকিস্তানের বিপক্ষে পরিত্যক্ত হওয়া প্রস্তুতি ম্যাচের পরে সংবাদমাধ্যমে সাব্বির বলেন, ‘আমি সব সময় অনুভব করি, এটা আমার শেষ ম্যাচ। এখানে ভালো করে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করতে হবে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো করে পরের ম্যাচ চেষ্টা করতে হবে। শেষ ম্যাচ ধরে নিয়েই সবটা দেওয়ার চেষ্টা করি।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি না হওয়ায় ক্ষতিটা সাব্বিরেরই হয়েছে বেশি। কারণ আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে তেমন ব্যাট করার সুযোগ মেলেনি তাঁর। বিশ্বকাপের মূল একাদশে থাকতে প্রস্তুতি ম্যাচগুলোই টার্গেট করেছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। সাব্বিরের টার্গেটে ঘি ঢেলে দিল বৃষ্টি। সুযোগ হারানোর হতাশা নিয়ে সাব্বির বলেন, ‘ত্রিদেশীয় সিরিজে তেমন ব্যাটিং করতে পারিনি আমি। টপঅর্ডার ভালো করায় সুযোগ আসেনি। একটি সুযোগ পেয়েছিলাম, সেটাও কাজে লাগাতে পারিনি। তাই অনুশীলন ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য। খেলা না হওয়া হতাশার। এখন পরের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে দল ভালো অবস্থায় আছে, আমিও ভালো আছি। অনুশীলন করছি। যে উইকেটে খেলা হবে, সে রকম উইকেটেই অনুশীলন করছি।’