হাসলেন সালাহ, জিতল লিভারপুল
সালাহ এবার গোল করলেন। গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার দুর্দান্ত খেলেছেন। লিভারপুল ২-০ গোলে হারিয়েছে টটেনহ্যামকে। এভাবে বললে অন্যায় হবে। ম্যাচটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল। ইউরোপ সেরার মুকুট এখন ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের দখলে।
মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত অল ইংলিশ ফাইনালে কাগজে-কলমে এগিয়ে ছিল লিভারপুল। ম্যাচের দুই মিনিটেই পেনাল্টিতে গোল করেন মোহাম্মদ সালাহ। ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন দিভোক ওরিগি।
লিভারপুল আর চ্যাম্পিয়নস লিগের সম্পর্কটাই যেন রূপকথার গল্প। গত মৌসুমেও ফাইনাল খেলেছে লিভারপুল। বুক সমান প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমে হয়েছে হতাশ। রিয়াল মাদ্রিদ রীতিমতো মুখের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় শিরোপা। সালাহকে ইনজুরি নিয়ে ছাড়তে হয় মাঠ। হয়তো সেদিনই ক্লপ দাঁত কামড়ে শপথ নেন আর যাই হোক চ্যাম্পিয়নস লিগকে ছাড়া যাবে না। নয়তো বার্সেলোনাকে এভাবে কাঁদিয়ে লিভারপুল ফাইনাল খেলবে তা কয়জনই ভাবতে পেরেছিল?
রূপকথা লেখা শুরু করেছিলেন পচেত্তিনোও। ওই আর্জেন্টাইন কোচের কৌশলেই হ্যারি কেইনরা ফাইনালে খেলে। টটেনহামের ফাইনাল খেলাটাও ছিল অসাধারণ অর্জন। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী টান টান উত্তেজনাটা ফাইনালে পাওয়া যায়নি।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি হাতে সালাহ। ছবি : সংগৃহীত
ডি বক্সের মধ্যেই ছিলেন সাদিও মানে। তাঁর শট টটেনহামের সিসোকোর হাতে লাগে। আর এতেই পেনাল্টি পায় লিভারপুর। পেনাল্টিতে সালাহ সোজা শট নেন, যাতে পরাস্ত হন হুগো লরিস। লিভারপুল যখন উল্লাসে ফেটে পড়েছে তখন ম্যাচের বয়স মাত্র দুই মিনিট। পরে পুরো ম্যাচটা সাদামাটা ভাবেই এগিয়েছে। অ্যালিসনের দুর্দান্ত গোলকিপিংয়ে লিভারপুলের রক্ষণে কোনো ফাটল ধরানো যায়নি। বিশেষ করে সন হিউং-মিনের দুর্দান্ত শট ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন। সনকে একাধিকবার হতাশ করেছেন অ্যালিসন। ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে ব্যবধান বাড়ায় লিভারপুল। কোনাকুনি শটে লরিসকে পরাভূত করেন ওরিগি।
১৪ বছর পর ইউরোপ সেরার খেতাব অর্জন করল লিভারপুল। টটেনহ্যামকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নিয়ে যান কোচ পচেত্তিনো। ইনজুরি থেকে ফেরা হ্যারি কেইনকে মাঠে নামিয়েও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজে আসেনি কৌশল।