হঠাৎ কী হলো তামিমের?

Looks like you've blocked notifications!

ক্রিকেটের সবুজ গালিচায় পা রেখেছেন এক যুগ আগে। তিন ফরম্যাটে দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশের সেরা ওপেনারের তকমাও তাঁর গায়ে। অথচ বিশ্বমঞ্চে এলেই কেমন যেন চুপসে যান তামিম ইকবাল। সব টুর্নামেন্ট মাতিয়ে রাখা তামিম যেন বিশ্বকাপেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেন।

এই যে ধরুন, বিশ্বকাপের আগে কি দারুণ ফর্মেই না ছিলেন তামিম। গেল দুই বছরে ৬০.৬৪ গড়ে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১৫১৬ রান। যার মধ্যে ছিল ১২টি হাফ-সেঞ্চুরি এবং ৪ সেঞ্চুরি। দুর্দান্ত সেই ফর্ম ফেলে বিশ্বকাপে এসেছেন অন্য এক তামিম। 

চলতি বিশ্বকাপে ইতিমধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। অথচ একটিতেও দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। তিন ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৫৯ রান। প্রথম ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচে ২৯ বলে ১৬ রান করেছেন। স্ট্রাইকরেট ছিল ৫৫.১৭। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৩.১৫ স্ট্রাইকরেটে ৩৮ বলে ২৪ রান করেন। আর গতকাল দলের চরম বিপর্যয়ের দিনে করেন মাত্র ১৯ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর এই ধারাবাহিক ব্যর্থতা চাপ বাড়িয়েছে সতীর্থদেরও।

এই নিয়ে চার বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া তামিম আগের তিনটিতেও ছিলেন বিবর্ণ। ২০০৭ সালে অভিষেক বিশ্বকাপে নয় ম্যাচে করেছেন ১৭২ রান। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ২৬.১৬ গড়ে করেছেন ১৫৭ রান। শেষ ২০১৫ বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ১৫৪ রান করেছিলেন। বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত তিনি খেলেছেন মোট ২৪টি ইনিংস। যাতে ছিল মাত্র তিনটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস, ছিল না কোনো সেঞ্চুরি।

গত তিন বিশ্বকাপের তুলনায় সবচেয়ে পরিণত তামিম এসেছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। এই বিশ্বকাপকেই পাখির চোখ মেনেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না তিনি। দেখে শুনে শুরু করেও বড় করতে পারছেন না ইনিংস। ব্যর্থতার মাঝে পার করেছেন তিনটি ম্যাচ। এই ব্যর্থতার কারণ হয়তো তাঁর নিজেরও জানা নেই। এখনো হাতে বাকি আর ছয়টি ম্যাচ। এই ছয়টিতে হারানো তামিম নিজেকে ফিরে পাবেন কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা!