শেষ পর্যন্ত বিদায় বলে দিলেন যুবরাজ সিং!

Looks like you've blocked notifications!

একসময় ভারতীয় দলে অবিচ্ছেদ্য ছিলেন তিনি। দেশটির বহু সাফল্য এসেছে যুবরাজ সিংয়ের হাত ধরে। বিশেষ করে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। তাঁরই কি না জাতীয় দলে ফেরার দরজাটা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। চলমান বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরার সবরকম চেষ্টা করেও সাফল্য পাননি। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেললেন তিনি।

আজ সোমবার অবসর ঘোষণা দিয়ে যুবরাজ বলেন, ‘২২ গজে ২৫ বছর এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রায় ১৭ বছর কাটানোর পর অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। অনেক কিছু শিখিয়েছে ক্রিকেট। কীভাবে লড়তে হয়, কীভাবে পড়তে হয়, আবার ধুলো মেখে কীভাবে ফের উঠে দাঁড়াতে হয়, তা শিখেয়েছে ক্রিকেট।’

আবেগঘন বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, ‘আমি সত্যিই ভাগ্যবান। দেশের হয়ে ৪০০ টি ম্যাচ খেলেছি। যখন প্রথম খেলা শুরু করি, ভাবতে পারিনি এভাবে শেষ করব।’

২০০০ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু যুবরাজের। এর পর দলকে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন তিনি। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছটি ছক্কা দারুণ রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ে যুবরাজের অবদান ক্রিকেট ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এখন আরেকটি বিশ্বকাপ যখন চলমান তখন অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেললেন তিনি।

২০১৩ সালের পর থেকেই জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন যুবরাজ। এরপর ২০১৭ সালে আবার জাতীয় দলে ফিরেও ছিলেন তিনি। কিন্তু নিয়মিত হতে পারেননি। জাতীয় দলে নিজের  শেষটা দেখে ফেলেছেন বলেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।

ভারতের দলের হয়ে ৪০ টেস্ট খেলে এক হাজার ৯০০ রান করে যুবরাজ। তিনটি শতক ১১টি অর্ধশতক রয়েছে তাঁর। আর ৩০৪টি ওয়ানডে খেলে আট হাজার ৭০১ রান করেন তিনি। যাতে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৫২টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। ৫৮টি-টোয়েন্টি খেলে এক হাজার ১৭৭ রান করেন তিনি।