টাইগারদের ব্যাটিং অস্ট্রেলিয়ার মানের কাছাকাছি : মাইকেল হাসি

Looks like you've blocked notifications!

বাংলাদেশ রানের পাহাড় টপকাতে পারেনি সত্য, তবে সামর্থ্যের জানান দিয়েছে ব্যাট হাতে। জিততে হলে করতে হতো ৩৮২ রান। অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণের সামনে এই বিশাল রান তাড়া করে জেতা বেশ কঠিন। দুর্দান্ত বাংলাদেশ এই ম্যাচটি জিততে পারেনি ঠিক, তবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ভিত ভালোভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রান করেছে বাংলাদেশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার নটিংহামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৪৮ রানে। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংঝড়ে কিছু সময়ের জন্য হলেও ম্যাচটিতে জয়ের আশা জেগেছিল লাল-সবুজের দলের। যদিও শেষ পর্যন্ত পারেনি তারা।

তবে হারলেও মন জয় করে নিয়েছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। তাই তো বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করতে ভোলেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ব্যাটসম্যান মাইকেল হাসি।

বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে মাঠে নেমে তিনটিতেই তিনশোর্ধ্ব রান করেছে বাংলাদেশ। দলের ব্যাটিং সামর্থ্যের উন্নতির গ্রাফটা যে ক্রমেই ওপরের দিকে উঠছে, তার প্রমাণ মেলে এই পরিসংখ্যানে। টাইগার ব্যাটসম্যানদের নৈপুণ্যে যারপরনাই মুগ্ধ মাইকেল হাসি। তবে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে আরো অগ্রগতি দেখতে চান ‘মিস্টার ক্রিকেট’ খ্যাত তারকা।

আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। পাঁচ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪২৫ রান। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণের একক সিরিজ বা টুর্নামেন্টে কমপক্ষে চারশ রান করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সাতে মুশফিকুর রহিম। পাঁচ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪৪ রান।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এমন ধারাবাহিকভাবে রান পাওয়া এবং হার-না-মানার মানসিকতা নজর কেড়েছে হাসির। জনপ্রিয় ক্রীড়াবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর ম্যাচ-পরবর্তী বিশ্লেষণে তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন সাকিব-মুশফিকদের। এমনকি অসিদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপেরও তুলনা টানেন হাসি। তবে টাইগারদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে কাজ করার অনেক কিছুই আছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস, ব্যাটিংয়ের মতো বোলিং বিভাগে উন্নতি করতে পারলে শিগগিরই বড় দলের পর্যায়ে নাম লেখাতে পারবে বাংলাদেশ।

‘দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার খুশি থাকারই কথা। তবে তাদের পুরোটা সময় লড়াই করতে হয়েছে। বাংলাদেশ যেভাবে এত বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটছিল, সে জন্য তাদের প্রতি আমার অভিবাদন রইল। এটা একটা বিশাল লক্ষ্য ছিল। তবে তারা নিজেদের অবস্থানটা বোঝাতে পেরেছে।’

‘তারা কখনওই হাল ছেড়ে দেয়নি। তারা কঠিন লড়াই করেছে। আর আমার কাছে নিশ্চিতভাবেই মনে হয়েছে, কিছু কিছু সময়ে অস্ট্রেলিয়ানরা চিন্তায়ও পড়ে গিয়েছিল।’

‘আপনি যদি দুটি দলকে পাশাপাশি রাখেন তাহলে দেখবেন, বাংলাদেশের ব্যাটিং এতটাই উন্নতি করেছে যে, সেটা প্রায় অস্ট্রেলিয়ার সমমানের হয়ে গেছে। তবে দুদলের মূল পার্থক্যের জায়গাটা হলো বোলিংয়ে।’

‘বাংলাদেশ যদি বোলিংয়ে আরো বেশি মনোযোগ দিতে পারে, আগামী কয়েক বছরের এই জায়গাটায় আরো উন্নতি করতে পারে, কয়েকজন বিস্ময়কর স্পিনার ও গতিময় পেসার খুঁজে বের করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি যে, তারা বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ের সেরাদের কাতারে উঠতে পারবে।’