এবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজ্জীবিত আফগানিস্তান

Looks like you've blocked notifications!

চলমান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে হলে বাকি থাকা সবকটি ম্যাচেই জিততে হবে বাংলাদেশকে। সে লক্ষ্যে এবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে লাল-সবুজের দল। সাউথাম্পটনের বাংলাদেশ সময় আজ বিকাল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হবে ম্যাচটি।

আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলা রশিদ-নবীরা আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছেন। ম্যাচের শেষ ওভারে মোহাম্মদ শামির হ্যাটট্রিকে জয় পায় ভারত। ম্যাচে মাত্র ১১ রানে হেরেছে আফগানিস্তান।

তাই আফগানদের বিপক্ষে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে তাদের স্পিন আক্রমণ বাংলাদেশের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। গত ম্যাচের ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনকেও তারা বেশ চাপে ফেলেছিল।  

এখন পর্যন্ত দুই দল ওয়ানডে ম্যাচে সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশের জয় পায় চারটিতে,  আর আফগানরা জিতেছে তিন ম্যাচে। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় আফগানরা টাইগারদের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে তাদের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ।

রশিদ খান ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী বাংলাদেশের জন্য হুমকি  হয়ে উঠতে পারেন।  তাই এই ম্যাচে আফগানদের কিছুটা সমীহ করছে বাংলাদেশ। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বলেন, ‘আফগানিস্তানে বিশ্বমানের স্পিনার আছে, তাদের আমরা সমীহ করি। তবে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।’

জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে সতর্কতার কথা বলেছিলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সাফল্য পেতে হলে প্রতিটি ম্যাচে খেলোয়াড়দের শতভাগ দিয়ে খেলতে হবে। তা ছাড়া সব দলের বিপক্ষেই সতর্কভাবে খেলতে হবে, কাউকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।’

রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর বিপক্ষে খেলতে হলে আলাদা কোনো প্রস্তুতি আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যে দলই থাকুক না কেন, সবার বিপক্ষেই খেলতে হবে। আমাদের প্রস্তুতিটা যথেষ্টই ভালো।’

চলমান বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে টাইগারদের জয় দুটিতে। প্রথম জয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পরের জয়টি আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অন্যদিকে ৬ ম্যাচের একটিতেও জয় পায়নি আফগানরা।

আফগানদের বিপক্ষে অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের খেলার সম্ভাবনা কম। গত ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও একাদশে ছিলেন না তিনি পিঠের চোটের কারণে। তাই মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে রুবেল হোসেনকে দেখা যেতে পারে একাদশে।

তবে অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত থাকতে পারেন একাদশে। কাঁধের ইনজুরির কারণে অসিদের বিপক্ষে তিনি একাদশে ছিলেন না।

আফগানিস্তার ম্যাচের পর ২ জুলাই ভারত ও ৫ জুলাই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেষ চারে খেলতে হলে লিগ পর্বের বাকি সবকটি ম্যাচ জিততেই হবে মাশরাফিদের।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।