শেষদিকে এসে স্বরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা

Looks like you've blocked notifications!

২০৪ রানের টার্গেটকে একেবারেই সামান্য বানিয়ে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯ উইকেটে বিশাল জয়। এভাবেই তো জেতা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অভ্যাস। কিন্তু এই বিশ্বকাপে সেটা দেখার সুযোগ মিলল কোথায়? ফাফ, আমলারা হতাশ করেছেন পুরো আসরে।

শ্রীলঙ্কাকে ২০৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৭ ওভার ২ বলে ২০৬ রান করে ফাফের দল। হাশিম আমলা করেন ৮০ রান ও ফাফ অপরাজিত ছিলেন ৯৬ রানে। কেবল কুইন্টন ডি ককের উইকেটটি হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্বকাপের একেবারে শেষদিকে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে অবশ্য লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। এই হারে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে গেল শ্রীলঙ্কার।  

২৮ তম ওভারটি করলেন লাকমল। ফাফ ডু প্লেসি তুলে মারলেন। ছয় তো বটেই, বলই খুঁজে পাওয়া গেল না। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচে এমনই দাপট দেখালেন ফাফ ও হাশিম আমলা। ফলাফল, পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেটের পতনের পর ওই দুইজনকে আউটই করতে পারল না শ্রীলঙ্কা।

ব্যর্থতার মিছিল থেকে নড়েননি কুইন্টন ডি কক। ১৫ রানে আউট হন তিনি। ম্যাচের শুরুতেই ডি কককে বোল্ড করেন মালিঙ্গা। একটা জমজমাট লড়াইয়ের আভাসও দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আজকের দক্ষিণ আফ্রিকার চেহারাটা যে চলতি বিশ্বকাপের নিয়মিত চেহারাটার সঙ্গে মেলে না!

মালিঙ্গা ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া লাকমলসহ অন্যরা তেমন কিছুই করতে পারেননি।

বোলিংটাও আজ দুর্দান্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুটা করেন রাবাদা। তারপর যা করার করেছেন প্রিটোরিয়াস আর মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসের দাপটে ভেঙে যায় শ্রীলঙ্কা। কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না।

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দাপটে ২০৩ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মালিঙ্গা যখন আউট হন, ম্যাচের তখনও আরো তিন বল বাকি। প্রিটোরিয়াস ও মরিস তিনটি করে উইকেট লাভ করেন। 

টসে জিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডারহামে এটা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মান-ইজ্জত রাখার লড়াই। সেমিফাইনালে দৌড় থেকে ছিটকে গেছে ফাফের দল। এখন পর্যন্ত যে কেবল আফগানিস্তানের সঙ্গেই জয় পেয়েছে দলটি!

টসে জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, সেটা প্রমাণের জন্য উঠেপড়ে লাগলেন রাবাদা। প্রথম বলেই ফেরালেন করুনারত্নেকে। কোনো রান ছাড়াই শ্রীলঙ্কার এক উইকেট নেই! এরপর কোনো ব্যাটসম্যানই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।

প্রিটোরিয়াস ১০ ওভারে ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। অন্যদিকে মরিস ৯ ওভার ৩ বলে ৪৬ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া রাবাদা দুইটি উইকেট নেন।

নিয়মিত আসা যাওয়ার মিছিলে সবচেয়ে বেশি রান করেন কুশল পেরেরা ও অভিস্কা ফার্নান্ডো। দুজনেই ৩০ রান করে করেন। দুজনকেই আউট করেন প্রিটোরিয়াস।

অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুসকে বোল্ড করেন মরিস। ম্যাথুস বিদায় নেন ১১ রানে। কুশল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার গড়া ছোট জুটিটাও ভেঙে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। কুশল মেন্ডিস ২৩ রানে ও ধনঞ্জয়া ২৪ রানে আউট হন।