লিটনের আক্ষেপ, লিটনের তৃপ্তি

Looks like you've blocked notifications!

সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেনি তারা। শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছে ৯৪ রানে। সব মিলিয়ে ভাগ্যের ওঠানামার মধ্যে কেটেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। তবে এর মধ্যেও আশার ঝলক কি ছিল না একেবারেই? আলবাত ছিল। দলগতভাবে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে অনেক মূল্যবান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ। তবে লিটনের মতে, তাঁরা যেভাবে ভিন্ন পরিবেশ মোকাবিলা করেছেন, সেটা নিয়ে সবারই গর্ব হবে।

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স লিটন দাস বলেন, ‘বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্সে হতাশ হবার কিছু নেই। বেশ কয়েকটা ম্যাচে খুব কাছে পৌঁছেও জিততে পারিনি আমরা, কিন্তু তার পরও বলব, আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি।  ইংল্যান্ডের আবহাওয়া বলুন, পিচ বলুন, সবই আমাদের দেশের চেয়ে অন্যরকম। কিন্তু তাও আমরা ম্যাচ জিতেছি, এবং বড় দলের সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিয়েছি।’

উদাহরণ টেনে বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানো ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ভারত আর নিউজিল্যান্ডের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে খেলেছি আমরা। এবার নিশ্চয়ই বুঝিয়ে দিতে পেরেছি যে আমরা যে কোনো পিচে যে কোনো আবহাওয়ায় যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ভালো খেলতে পারি। এটা আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে, বিশেষ করে বিদেশ সফরগুলোতে আর শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে খেলার সময়ও।’

টুর্নামেন্টে শুরুটা ভালোই হয়েছিল লিটনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ৯৪ করেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও লিটনের হাত ধরে সাত উইকেটে ক্যারিবীয়দের হারায় বাংলাদেশ। কিন্তু তারপর থেকে সাকিবের পারফম্যান্সে যেমন উত্তরোত্তর উন্নতি হতে থাকে, লিটনের ঠিক তেমনটা হয়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩২ ছাড়া বলার মতো আর কোনো স্কোর নেই তাঁর।

তাই ধারাবাহিকতাই এখন লিটনের মূল লক্ষ্য। গত বছর এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১২১ করেছিলেন তিনি। চাইলে কি আবার পারবেন না সেই ফর্মে ফিরতে? এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিজের প্রত্যাশামতো খেলতে পারিনি আমি। দু-একটা ২০-৩০ করেছি ঠিকই, কিন্তু সেগুলোকে ৫০-৬০ এ নিয়ে যেতে পারলে হয়তো খেলার ফলাফলই অন্যরকম হত। যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে দলের কাজে আসতে পারিনি, এটা ভেবে খারাপ তো অবশ্যই লাগছে। তবে ভাগ্যেরও তো একটা ভূমিকা থাকে!’