ধোনির বাজে শুরুর সাক্ষী ছিলেন যে বাংলাদেশি ক্রিকেটার!

Looks like you've blocked notifications!

হৃদয়ভাঙা সেমিফাইনাল তাঁর কেরিয়ারের শেষ ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিনা, তা এখনো জানা যায়নি। অবশ্য শেষ বিশ্বকাপ যে মহেন্দ্র সিং ধোনি খেলে ফেললেন সেটা বলাই যায়। তবে অবিকল একই ছবি ছিল ১৫ বছর আগের সেই ম্যাচে। বাংলাদেশি পেসার তাপস বৈশ্যর ছোড়া বল উইকেটকিপার খালেদ মাসুদের হাতে পড়তেই উইকেট ভেঙে দেন তিনি। ধোনির আর ক্রিজে ফেরা হয়নি। অভিষেক ম্যাচে রান আউট হন ধোনি।

২০০৪ সালে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক হয়েছিল ধোনির। সে ম্যাচে মাত্র এক বল খেলে কোনো রান না নিয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তবে গতকাল বুধবার সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হননি তিনি। খেলেছেন ৫০ রানের একটি চমৎকার ইনিংস। তবে তিনি রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলেই ভারতের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেঙে যায়। তাই  অনেকেই তাঁর শুরু আর শেষের মধ্যে মিল খুঁজে পাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম আর ম্যানচেস্টারের মধ্যে বিস্তর দূরত্ব। দুই দেশের দুই মাঠে ধোনির খেলা ইনিংসের প্রেক্ষিতও ভিন্ন। তবে ধোনির আউট হওয়া দেখে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ বলেন, ‘ধোনির জন্য খুব খারাপ লেগেছিল। অল্পের জন্য ক্রিজে পৌঁছতে পারলেন না। বিশ্বক্রিকেটে যে কজন ক্রিকেটার মস্তিষ্ক দিয়ে খেলে, তাঁর মধ্যে অন্যতম ধোনি। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে গোটা ম্যাচটা দারুণ বিশ্লেষণ করেন তিনি। কোন ব্যাটসম্যানকে কোন জায়গায় বল ফেলতে হবে, সেটা ধোনিই বোলারদের বলে দেয়। বোলার যখন বল করার জন্য দৌড়ন, তখন ক্যামেরা বোলারকেই ধরে। বাকিদের আমরা আর দেখতে পাই না। তাই ধোনি থেকে যায় অদৃশ্য। কিন্তু, ওই তো দলের আসল মস্তিষ্ক।’

আর ধোনির অভিষেক ম্যাচের রান আউট নিয়ে এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার বলেন, ‘অনেক দিন আগের ঘটনা। ভুলে গিয়েছিলাম। ধোনির আত্মজীবনী দেখে আবার মনে পড়ে গেল সেই রান আউটের মুহূর্তটা। ধোনি স্কোয়ার লেগে বল ঠেলে রান নেওয়ার জন্য দৌড়েছিল। নন স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়ানো কাইফ ফিরিয়ে দেন ধোনিকে। ততক্ষণে অনেক দেরি করে ফেলেছে ধোনি। তাপস আমাকে বল ছুড়ে দিয়েছে। আমি বল হাতে পেয়েই উইকেট ভেঙে দিই।’