লর্ডসের ইতিহাস বদলাতে পারবে নিউজিল্যান্ড?

Looks like you've blocked notifications!

লর্ডসে ইতিমধ্যে শিরোপা যুদ্ধে লড়ছে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড। শেষ হাসি কার মুখে ফুটবে? ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ড নাকি নিউজিল্যান্ড? প্রশ্নটা সবার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ইতিহাস বলছে, ইংলিশদের মাথায়ই উঠতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নের মুকুট। কেননা লর্ডসে বিশ্বকাপের ফাইনালে টস জেতা মানেই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনা। ভেন্যুটির অতীত পরিসংখ্যান অন্তত সেটাই বলছে।

এবারের বিশ্বকাপে টস জিতলেই ব্যাটিং নিয়েছে দলগুলো। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে জয়ের সুবিধাও পেয়েছে বেশিরভাগ দল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাই একই কাজ করেছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইংলিশদের বিপক্ষে আগে চাপমুক্ত খেলার জন্য নিয়েছেন ব্যাটিং। কিন্তু আজ নিউজিল্যান্ড ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে পারবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সন্দেহ। কারণ, লর্ডসে টসে জিতে পরাজয় বরণ করার এক আশ্চর্য ধারাবাহিকতা রয়েছে।      

এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল আয়োজন করছে লর্ডস। আগের চারবারের ফলাফল অবাক করবে যে কাউকে। কারণ আগের চারবারেই হেরেছে টসজয়ী দল।

 ১৯৭৫ সালে প্রথম ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় লর্ডসে। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস জিতে অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ক্লাইভ লয়েডের সেঞ্চুরিতে ২৯১ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবীয়রা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৭৪ রানে থামে অসিরা। টসজয়ী দল হারে ১৭ রানে।

সেই যে কুফা শুরু হয় তার রেওয়াজ আজও থামেনি। ১৯৭৯ সালে ফের এই মাঠে হারে টসজয়ী দল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

এরপর ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপে টানা তৃতীয় আসরের আয়োজকের দায়িত্ব পায় লর্ডস। সেই ম্যাচেও হারল টসজয়ী দল। তৃতীয় আসরে টস জিতে ভারতের কাছে হেরে যায় টানা তিন ফাইনাল খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

 চতুর্থ ফাইনালের জন্য লর্ডসকে অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘ ১৬ বছর। ১৯৯৯ সালে সেই আসরে লর্ডসে ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। আগের তিন ফাইনালে টসে জিতে প্রতিবারই বোলিং নিয়ে হারতে হয়েছিল দলগুলোকে। পাকিস্তান তাই ভাগ্য বদলের আশায় টসে জিতে ব্যাটিং নেয়। কিন্তু লাভ হয়নি। ৩০ হাজার দর্শকের কাছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যায় পাকিস্তান।

সুতরাং টসজয়ী দল কখনো জয়ের মুখ দেখেনি ভেন্যুটিতে। এবার কি ইতিহাস বদলাতে পারবে নিউজিল্যান্ড? টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংলিশদের সামনে দিশেহারা কিউই ব্যাটসম্যানরা। দ্রুত উইকেট হারানোর পাশাপাশি রান তুলতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্ল্যাক ক্যাপদের। শেষ পর্যন্ত কেন উইলিয়াম সনরাও কি লর্ডসের ইতিহাসের পথে হাঁটছেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা!