সেই আর্চারকে দিয়েই ইংলিশদের বিশ্বজয়

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগেও তাঁর জানতেন না, ইংল্যান্ডের জার্সিতে মাঠে নামতে পারবেন কি না। তাঁকে প্রাথমিক ভাবে ১৫ জনের দলে রাখেননি নির্বাচকরা। শেষ মুহূর্তে দলে নাম আসে আর্চারের। আর হুট করে সুযোগ পাওয়া সেই আর্চারেই প্রথম বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্চারের উপর সুপার ওভারে আস্থা রাখেন অধিনায়ক ইয়ং মরগান। বল হাতে অধিনায়কের আস্থার মূল্য দিয়েছেন আর্চার। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বাবাডোজের এই বোলার। প্রচন্ড গতির সঙ্গে সুইং এবং নিখুঁত ইয়র্কারে নিউজিল্যান্ডকে ১৫ রা টপকাতে দেননি তিনি । তাতে সুপার ওভারে ম্যাচ জিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠে স্বাগতিক ইংলিশদের মাথায়। ইংল্যান্ড শেষ বার বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছিল সেই ১৯৯২ সালে। যখন জন্মও হয়নি ক্যারিবিয়ান বংশোদ্ভুত এই পেসারের। লর্ডসে ফাইনাল খেলতে নামার আগেও বলেছিলেন, তার কাছে সব স্বপ্নের মতো লাগছে। অথচ সেই আর্চারই হাজার হাজার দর্শকের সামনে ইংলিশদের স্বপ্ন সত্যিতে রূপ দিলেন।লর্ডসে সুপার ওভারে কিউইদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় ইয়ং মরগানের দল। তিনবারের ফাইনালের ব্যর্থতা কাটিয়ে  প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় ক্রিকেটের জন্মভূমি ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫ রান তোলে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে প্রথম ৫ বলেই ১৩ রান করে ফেলেন নিশাম। শেষ বলে ১ রান নিতে সক্ষম হন গাপটিল।ফলে টাই হয় সুপার ওভারও। কিন্তু মূল ম্যাচে বেশি বাউন্ডারি হাঁকানোয় প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচে আগে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড ১৪টি চার ও ২টি ছক্কায় মোট বাউন্ডারি পায় ১৬টি। অন্যদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২টি চারের সঙ্গে ২টি ছয় মারে ইংল্যান্ড। যে কারণে সুপার ওভারের নিয়মানুযায়ী চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।