বাংলাদেশের সামনে বিশাল লক্ষ্য

Looks like you've blocked notifications!

লাগামহীন বোলিং, ফিলিংয়েও বাজে অবস্থা। টাইগারদের এমন বাজে দিনে কলম্বোয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ তুলতে ভুল করেনি শ্রীলঙ্কা। কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ওভারে বাংলাদেশের সামনে ৩১৫ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় দিমুথ করুনারত্নের দল।

কলম্বোর প্রেমাদাসায় ম্যাচটি দিয়ে বাংলাদেশের ১৪তম ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটে তামিম ইকবালের। নিজের অভিষেক দিনে টস করতে নেমেই হারেন অধিনায়ক। টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক অধিনায়ক করুনারত্নে।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই লঙ্কানদের ওপেনিং জুটি ভাঙেন প্রায় তিন বছর পর বাংলাদেশ একাদশে ফেরা শফিউল ইসলাম। নিজের কোটার দ্বিতীয় ওভারেই সৌম্যর হাতে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরান অভিশকা ফার্নান্দোকে (৭)।

১০ রানে এক উইকেট হারানোর পর দিমুথ করুনারত্নে আর কুশল পেরেরার ব্যাটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৯৭ রানের জুটি। ভয়ংকর হতে যাওয়া এই জুটি ভাঙেন মেহেদী মিরাজ। ফিরিয়ে দেন করুনারত্নেকে। ফেরার আগে চার বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন স্বাগতিক অধিনায়ক।

এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে নেন কুশল পেরেরা। টাইগারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ে আরেকটি বড় জুটি পায় লঙ্কানরা। মাঝে ২৭তম ওভারে সৌম্যর বলে মেন্ডিসকে জীবন দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৮ রানে থাকা মেন্ডিস লং অনে ক্যাচ দিলে সেটা ধরেনও মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারেননি। জীবন পাওয়া মেন্ডিসকে পরে ৪৩ রানে সাজঘরে পাঠান রুবেল।

এরমধ্যে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামা পেরেরা। ২৮তম ওভারে মোসাদ্দেকের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। তিন অঙ্কের ঘরে যেতে ৮২ বল মোকাবিলা করেন লঙ্কান ওপেনার। তবে সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি পেরেরা। ৩৩তম ওভারে মুস্তাফিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে তাকে ফেরান সৌম্য। সাজঘরে যাওয়ার আগে ১৭ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ১১১ রান করেন উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান।

পঞ্চম উইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও লাহিরু থিরিমান্নে মিলে স্কোর বোর্ডে ৬০ রান যোগ করেন। শেষের দিকে ম্যাথিউসের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেটে ৩১৪ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। তিন বাউন্ডারিতে ৪৮ রানের ইনিংস খেলে স্বাগতিকদের লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন ম্যাথিউস।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৬০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন শফিউল ইসলাম। ৭৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে নেন মেহেদী মিরাজ, রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।

ব্যর্থ বিশ্বকাপ শেষে শ্রীলঙ্কা সফরে পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। দলে নেই সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নেই নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফিও। তাতে ম্যাচটি অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ অধিনায়ক তামিমের জন্য। অন্যদিকে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ লঙ্কানদের জন্যও। কেননা এই ম্যাচ দিয়েই ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন লঙ্কান বোলার লাসিথ মালিঙ্গা।