বিদায়ের কারণ জানালেন মালিঙ্গা

বয়স ৩৫, তাতে কী! এখনো ক্ষিপ্র, চোখধাঁধানো ইয়র্কার, ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স। চাইলেই আরো কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু না লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার চাওয়াটা ভিন্ন। মূলত তরুণদের সুযোগ দিতেই ইতি টানলেন ১৫ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের। তিনি সরে দাঁড়ালে আগামী বিশ্বকাপের আগে নতুন তারকার দেখা পেতে পারে শ্রীলঙ্কা। তাই তরুণদের অপেক্ষা না বাড়িয়ে মালিঙ্গা নিজেই সরে দাঁড়ালেন।
অবশ্য এর চেয়ে ভালো বিদায় আর হতে পারে না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লঙ্কান ক্রিকেটের নায়ক ছিলেন তিনি। শেষ করলেন মহানায়ক হয়ে। নিজের বিদায়ী ম্যাচেও উজ্জ্বল পারফরম্যান্স করে শেষটা স্মরণীয় করে গেলেন মালিঙ্গা। বল হাতে মাত্র ৩৮ রানের বিনিময়ে টাইগারদের তিন উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। তাতে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজির সঙ্গে পেরে উঠেনি বাংলাদেশ। ফলাফল বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯১ রানের জয়।
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষে মালিঙ্গা জানালেন বিদায়ের কারণ। কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, অবসরের সঠিক সময় এটিই। গত ১৫ বছর শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছি। সত্যিই এটি আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের। দর্শক-সমর্থকদের পাশে পেয়ে আমি খুশি। এখনই সরে যাওয়ার সময় মনে হয়েছে আমার। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে তাকাতে হবে আমাদের।’
১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের ঝুলি বেশ ভারী করে বিদায় নেন মালিঙ্গা। ওয়ানডে ক্রিকেটের তিনিই একমাত্র বোলার যার নামের পাশে আছে তিনটি হ্যাটট্রিক। এর মধ্যে দুটি আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয়তে তাঁর নাম। ২২৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৩৮ উইকেট। পুরো ক্যারিয়ারেই তাঁর কাছে অধিনায়কদের চাওয়া ছিল উইকেট। নিজের সেরাটা দিয়ে সেটাই করে গেছেন মালিঙ্গা।
বিদায় বেলায় সেই স্মৃতি স্মরণ করে মালিঙ্গা বলেন, ‘ক্যারিয়ারজুড়ে অধিনায়করা আমার কাছে উইকেট চেয়েছেন। আমিও নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছি। সেজন্যই সফল হয়েছি।’
তরুণদের প্রতি মালিঙ্গার উপদেশ, ‘নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে হবে। এই তরুণ বোলারদের ম্যাচ জয়ী বোলার হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। লোকে যেন বলে, সে ম্যাচ জেতানো বোলার।’