হাতাহাতি হতে পারত রোনালদো-মরিনিয়োর!
২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে সময়টা তেমন ভালো কাটেনি জোসে মরিনিয়োর। রোনালদো-বেনজেমা-দি মারিয়া-ওজিলদের মতো তারকাদের পেলেও তিন মৌসুমে রিয়ালকে মাত্র একটি লা লিগা ও একটি কোপা দেল রের শিরোপা এনে দিতে পেরেছিলেন স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ। বেশ কয়েকজন ‘শিষ্য’র সঙ্গে তেমন ভালো সম্পর্কও ছিল না মরিনিয়োর। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়ালের সবচেয়ে বড় তারকার সঙ্গে নাকি একবার প্রকাশ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মরিনিয়ো। শুধু তাই নয়, দুজনের মধ্যে হাতাহাতিরও উপক্রম হয়েছিল। রোনালদোকে নিয়ে একটি নতুন বই লেখার কাজে ব্যস্ত স্পেনের ফুটবল বিশেষজ্ঞ গিয়েম বালাগে এমন দাবিই করেছেন।
সম্প্রতি এই বইয়ের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশিত হয়েছে ইংল্যান্ডের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায়। সেখানে বালাগে দাবি করেছেন, ২০১৩ সালে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের একটি ম্যাচ শেষে মরিনিয়োর ওপর ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন রোনালদো। কোচকে কোনো রকম সম্মান না করে তর্কে মেতে উঠেছিলেন মরিনিয়োর সঙ্গে।
সেই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ গোলে জিতেছিল। খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে রোনালদো এত দ্রুত একটা থ্রো-ইন করেছিলেন যে মেসুত ওজিল বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেননি। ডাগআউট থেকে তখনই রোনালদোকে ভর্ৎসনা করেছিলেন মরিনিয়ো।
ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে মরিনিয়ো প্রসঙ্গটা তুললে রোনালদো আর নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি। উত্তেজিতভাবে তিনি বলে ওঠেন, ‘আপনার জন্য এত কিছু করার পরও আপনি আমার সঙ্গে এ রকম আচরণ করছেন? আপনি এই কথা আমাকে বলেন কীভাবে?’ মরিনিয়ো তখন পর্তুগিজ তারকাকে শান্ত করার জন্য বলেন, ‘আমি এটা দলের স্বার্থে বলছি। কারণ তোমাকে দলের প্রয়োজন।’ কিন্তু রোনালদো তাতে শান্ত হতে পারেননি। সবাইকে শুনিয়ে-শুনিয়ে জোরে-জোরে তিনি বলেন, ‘আপনার জানা থাকা দরকার যে আমার মতো চিন্তা দলের অনেকেই করে। কিন্তু সেটা আপনাকে বলার মতো সাহস কারো নেই।’
বালাগে তাঁর বইয়ে দাবি করেছেন, পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে রোনালদোকে ইকার ক্যাসিয়াস, স্যামি খেদিরা, সার্জিও রামোসদের ধরে রাখতে হয়েছিল। তা না হলে রোনালদো আর মরিনিয়োর মধ্যে নাকি শারীরিক সংঘর্ষও হতে পারত! ঐ ঘটনার পর দুজনের সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হতে পারেনি বলেও দাবি করেছেন বালাগে। ২০১৩ সালের জুনে রিয়াল ছেড়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেলসি কোচের দায়িত্ব নেন মরিনিয়ো।