ফের স্মিথের সেঞ্চুরি, এজবাস্টনে অস্ট্রেলিয়ার দাপট
নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেছেন আগেই। তবে যে পোশাকে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হলেন, সেই টেস্ট ক্রিকেটে ফিরলেন ১৬ মাস পর। ফেরার গল্পে নিজেকে হয়তো অন্যভাবে চেনাতে চেয়েছেন স্টিভ স্মিথ। ব্যাট হাতে করছেন সেটাই। অ্যাশেজে প্রথম ইনিংসে খেলেছেন ১৪৪ রানের ঝলমলে ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসেও ফের অস্ট্রেলিয়ার নায়ক স্মিথ। তুলে নিয়েছেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। শতকের দেখা পেয়েছেন ম্যাথু ওয়েডও। তাতে এজবাস্টন টেস্টে দাপট করছে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংস ৭ উইকেটে ৪৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ৯০ রানের লিড পাওয়ায় জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের টার্গেট ৩৯৮। গতকাল শেষের দিকে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৩ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছে ইংলিশরা।
রোববার ৩ উইকেটে ১২৪ রানে চতুর্থ দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ট্রাভিস হেডকে নিয়ে দিনের শুরুটা দারুণ করেন স্মিথ। লাঞ্চের আগমুহূর্তে হেডকে ফিরিয়ে ১৩০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস।
এরপর ওয়েডকে নিয়ে শুরু হয় স্মিথের প্রতিরোধ। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১২৬ রানের জুটি। মূলত পঞ্চম উইকেটের এই জুটিই ইংলিশদের স্বপ্ন ভেঙে দেয়। স্মিথ চলেন নিজ ছন্দে। ১৪৭ বলে স্পর্শ করেন করেন ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরি। এ ছাড়া পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে অ্যাশেজের এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন সাবেক এই অসি অধিনায়ক।
সেঞ্চুরির পরও স্মিথকে থামাতে ঘাম ছুটেছে ইংলিশদের। শেষ পর্যন্ত ক্রিস ওকসের নতুন বলে আউট হন স্মিথ। ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২০৭ বলে ১৪২ রান। এরপর ১৩১ বলে ১৫ চারে সেঞ্চুরির দেখা পান ওয়েড। শেষের দিকে অধিনায়ক টিম পেইন, প্যাটিনসন আর প্যাট কামিন্সের ব্যাটে চড়ে ইংলিশদের সামনে ৩৮৫ রান রাখে অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্টোকস। দুটি পান মঈন আলি।