একের পর এক পরাজয়ের হতাশায় এমনিতেই জর্জরিত চেলসির কোচ জোসে মরিনিয়ো। এরই মধ্যে গুঞ্জন, তাঁর বিরুদ্ধে নাকি বিদ্রোহ করেছেন খেলোয়াড়রা! তবে এই গুঞ্জনকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন চেলসির ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ। খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো বলেই জানিয়েছেন মরিনিয়ো।

এবারের মৌসুমে এ পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচ খেলে নয়টিতেই হার মেনেছে চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গতবারের চ্যাম্পিয়নরা এখন আছে পঞ্চদশ স্থানে। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, চেলসির এক খেলোয়াড় নাকি বলেছেন যে মরিনিয়োর অধীনে খেললে হেরে যাওয়াই ভালো। তবে এ ধরনের গুঞ্জন বা দলে বিদ্রোহের আশঙ্কার কথা দৃঢ়তার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছেন মরিনিয়ো।

বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের ডায়নামো কিয়েভ। এই ম্যাচের আগে মরিনিয়ো বলেছেন, ‘অনুশীলনের প্রতিটা মিনিটে খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে দারুণ সংহতি গড়ে উঠেছে। আমাদের মধ্যে এখন খুবই ভালো পেশাদারি সম্পর্ক।’ চেলসির খেলোয়াড়রা ডায়নামো কিয়েভকে হারানোর প্রাণপণ চেষ্টা করবেন জানিয়ে এই পর্তুগিজ কোচের মন্তব্য, ‘তারা সবসময়ই দক্ষতা আর একাগ্রতার সঙ্গে অনুশীলন করে। সবসময়ই জয়ের প্রচণ্ড ইচ্ছা কাজ করে তাদের মধ্যে। বুধবারও তাদের সেই চেষ্টাই থাকবে।’

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সেস্ক ফাব্রেগাসের নেতৃত্বে বিদ্রোহ দানা বেঁধেছে চেলসিতে। তবে এই গুঞ্জন অস্বীকার করে ফাব্রেগাস বলেছেন, ‘কিছু প্রতিবেদনে যেমনটা দাবি করা হয়েছে ঘটনা তার ঠিক উল্টো। চেলসিতে আমি খুব খুশি আছি আর কোচের সঙ্গে আমার সম্পর্কও খুব ভালো। বাইরে থেকে কেউ হয়তো এই ক্লাবকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারব।’

ফাব্রেগাসের মতো জন টেরিও দাঁড়িয়েছেন কোচের পাশে। দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের জন্য কোচ নন, বরং খেলোয়াড়রাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন চেলসির অধিনায়ক, ‘আমরা ভালো খেলতে পারছি না। তার দায় আমাদেরই। আমরা জানি যে প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে আমরা কী অবস্থায় আছি। আর এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দায়িত্বও আমাদের। এটা খেলোয়াড়দেরই দায়, কোচের নয়।’

চেলসির সব খেলোয়াড় কোচের পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন টেরি, ‘আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে খেলোয়াড়রা কোচের পাশে আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ। কেউ যদি আমাদের সর্বশেষ তিন বা চারটি ম্যাচ দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে আমাদের খেলার ধরনে কীভাবে পরিবর্তন আসছে। আসলে ঐক্যবদ্ধ থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’