লর্ডসেও লড়াইয়ের নায়ক স্মিথ
লর্ডসের বৈরী আবহাওয়া বোলারদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বোলারদের দাপট। ব্যাটসম্যানদের জন্য লর্ডসের উইকেট যেন মরণফাঁদ। বোলারদের দাপটে ব্যর্থ দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। তবে সে তুলনায় বিপরীত অসি তারকা স্টিভ স্মিথ। এজবাস্টনের পর লর্ডসেও ব্যাট হাতে রাজত্ব করেছেন তিনি। সতীর্থদের আশা-যাওয়ার মিছিলে প্রথম ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিলেন সাবেক এই অসি অধিনায়ক।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২৫৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্মিথের কাঁধে ভর দিয়ে ২৫০ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই ইংলিশ বোলারদের কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় সফরকারীদের।
এক উইকেটে ৩০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। নতুন দিনের শুরুতেই ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটের দেখা পান ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চার। পরের ওভারে আবারও ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ক্রিস ওকসের বলে ফিরে যান উসমান খাজা। ফেরার আগে ৫৬ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। পরে ট্রাভিস হেডকে থামান স্টুয়ার্ট ব্রড।
এরপর শুরু হয় স্মিথের লড়াই। একপ্রান্ত আগলে রেখে টিকে ছিলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। খাজার পর ৩০ ছাড়ানো ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। ছয়জন ফিরেছেন দশের নিচে।
এদিকে ম্যাচের মাঝপথে বল লাগে স্মিথের ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর বাধ্য হয়ে মাঠ ছাড়েন। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে ড্রেসিংরুমে বেশিক্ষণ বসে থাকেননি স্মিথ। একটু সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফেরেন তিনি। তবে চোট নিয়ে বেশিদূর আর যেতে পারেননি। টানা দুই বাউন্ডারি মেরে ক্রিস ওকসের শিকার হন। ফেরার আগে ১৪ বাউন্ডারিতে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন স্মিথ।
স্কোরবোর্ডে দলীয় ২৩৪ রানের মাথায় সাজঘরে যান স্মিথ। তাঁর ফেরার পর শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট সংগ্রহে ২৫০ রানে থামে অস্ট্রেলিয়া।
ইংলিশদের পক্ষে বল হাতে ব্রড নিয়েছেন চার উইকেট। তিন উইকেট নিয়েছেন ওকস। আর্চারের শিকার দুটি।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সুবিধায় নেই ইংল্যান্ডও। নয় রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার জেসন রয়। টিকতে পারেননি অধিনায়ক জো রুটও। রানের খাতা খোলার আগেই তাঁকে বিদায় করেন প্যাট কামিন্স। অসি পেস মোকাবিলা করতে ব্যর্থ ররি বার্নস ও জো ডেনলি। শেষ পর্যন্ত চার উইকেটে ৯৪ রান নিয়ে দিন শেষ করে ইংল্যান্ড। ছয় উইকেট হাতে নিয়ে ১০৪ রানে এগিয়ে থেকে আজ রোববার শেষ দিন শুরু করবে স্বাগতিকরা।