গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করেই বাংলাদেশের সাফল্যের পথে অগ্রযাত্রা। সেবার ঘরের মাঠে ওয়ানডে ৫-০ এবং টেস্ট সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ। এক বছর আগে যে বাংলাদেশকে দেখেছিল জিম্বাবুয়ে, সেই দলটির সঙ্গে বর্তমান দলের বিস্তর ফারাক। বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া, সাফল্য পেতে উন্মুখ একটি দল। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের সিরিজে মাশরাফির দল সুস্পষ্ট ফেভারিট। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডে শুরু হবে বেলা ১টায়।

শুধু শক্তি-সামর্থ্য নয়, পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের পক্ষে। ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪টি ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। যার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৩৬টি আর জিম্বাবুয়ে ২৮টি।

অথচ এই জিম্বাবুয়ের কাছে একসময় বাংলাদেশে একটানা হারত। সেটা অবশ্য বেশ আগের কথা। গত ১০ বছরে চিত্রটা পাল্টে গেছে। ২০০৪-২০০৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যের সূচনা হয়েছিল। হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে সেবার বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল। এরপর আরো ১০টি সিরিজ খেলেছে দুই দল। এর মধ্যে বাংলাদেশ সাতটি আর জিম্বাবুয়ে তিনটি সিরিজ জিতেছে।

সম্প্রতি ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে জিম্বাবুয়ে। সেই হারের ক্ষত নিয়েই বাংলাদেশে এসেছেন ডেভ হোয়াটমোরের শিষ্যরা।

এই ব্যর্থতা ভুলে নতুন করে শুরু করতে চান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা, ‘অতীত নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না। আমাদের এখন সব চিন্তা বর্তমান সিরিজ নিয়ে। এই সিরিজে কীভাবে ভালো করা যায় সেটাই আমাদের একমাত্র ভাবনা।’

ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাকে টানা তিনটি ওয়ানডে সিরিজে হারানো বাংলাদেশের জিম্বাবুয়েকেও সহজেই হারানো উচিত। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য ‘এলাম-দেখলাম-জয় করলাম’ তত্ত্বে বিশ্বাসী নন, ‘আমি সব সময় মনে করি জয়টাই আসল। কীভাবে জিতলাম সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মাঠে নেমে ভালো খেললে এমনিতেই আধিপত্য বিস্তার করা যাবে। তবে আগে থেকেই প্রতিপক্ষকে ডমিনেট করার চিন্তা করলে উল্টো নিজেদের ঘাড়েই চাপ এসে পড়বে।’

তুলনায় দুর্বল হলেও জিম্বাবুয়েকে একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে হেরে গেলেও তাদের হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। জিম্বাবুয়ে দলে বেশ কয়েকজন ভালো মানের ক্রিকেটার আছে। তাদের পক্ষে যে কোনো সময় ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেওয়া সম্ভব।’