ক্রিকেটাররা কবে শিখবেন তা জানা নেই সাকিবের
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রায় ১৯ বছরের অভিজ্ঞ দল। সেই তুলনায় আফগানিস্তানকে শিশুই বলা যায়। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টে নবীন দলটি প্রমাণ করল ক্রিকেটে অভিজ্ঞতার চেয়ে মাঠের পারফরম্যান্সই বড়।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে বাঁচাতে অনেক চেষ্টা করেছে বৃষ্টি। কিন্তু লজ্জার হাত থেকে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারল না সাকিব আল হাসানের দল। একমাত্র টেস্টে ২২৪ রানের ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে আফগানরা।
পাঁচদিন ম্যাচে তিন দিনই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছিল আফগানিস্তান। ব্যাটে-বলের পারফরম্যান্সে অতিথিদের সামনে বেশ নাজুক অবস্থাতেই ছিল স্বাগতিকরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান নেই, বোলারদেরও ধার নেই, ফিল্ডিং সমস্যা, বডি ল্যাংগুয়েজও ঠিক নেই। সব মিলিয়ে সমস্যায় জর্জরিত বাংলদেশ শিবির।
এত বছর ক্রিকেট খেলার পরও এত সমস্যা, তাহলে কবে শিখবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা? ম্যাচে শেষে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটে অনেক ভুলভ্রান্তি হচ্ছে। এখনে অনেক কিছু শেখার আছে বুঝার আছে। এখন ক্রিকেটাররা কত দিনে বা কবে এসব শিখতে ও বুঝতে পারবে সেটাও অনেক বড় ব্যাপার।’
তিন দিন বাদে এই আফগানিস্তাসহই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। হাতে সময় কম। এই সময়ে দল গুছিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো কতটা চ্যালেঞ্জিং?
সাকিবের কথায়, ‘টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় কথা প্রথম ম্যাচে জিততে হবে। তাহলে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। না হলে কঠিন হবে। হাতেও খুব বেশি সময় নেই। আমাদের হাতে মাত্র তিন দিন সময় আছে। খুব তাড়াতাড়ি সব গুছিয়ে নিতে হবে। কারণ এই দলের অনেকেই টি-টোয়েন্টিতেও খেলবে। সবার মানসিকতা পরিবর্তন করে টি-টোয়েন্টির জন্য প্রস্তুত হতে হবে। তা ছাড়া পারফর্ম করেই ভালো করতে হবে। আমাদের জন্য অবশ্যই কঠিন। তবুও ভালো একটা শুরু করতে হবে আমাদের।’