নিজের মতো খেলেই সফল আফিফ
২০১৮ সালের ফ্রেবুয়ারিতে সাকিব আল হাসানের ইনজুরির সুযোগে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় আফিফ হোসেনের। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান। এরপর আর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামা হয়নি।
এক বছর সাত মাস পর আবার যখন মাঠে ফিরলেন তখন নতুন এক আফিফকে দেখল ক্রিকেট দুনিয়া। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলের বিপর্যয়ে খেললেন দুর্দান্ত ইনিংস। তরুণ এই অলরাউন্ডারের ২৬ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে আফিফ জানালেন, নিজের মতো খেলতে পেরেই সফল হয়েছেন তিনি। আফিফ বলেন, ‘আমার চিন্তা ছিল আমি আমার মতো করে খেলব। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করার চেষ্টা করব। কোচ ম্যাচের আগে আমাকে শুধু নিজের মতো করে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন। ম্যাচের আগে সবাই আমাকে বলেছেন নিজের মতো করে খেলতে। আমি সে অনুযায়ী খেলতে পেরেছি।’
৬০ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় কাঁপছিল বাংলাদেশ, তখন উইকেটে আসেন আফিফ। এত কম বয়সে এত সাহসী মানসিকতার রহস্য কী? আফিফের উত্তর, বাদ পড়ার পর যখনই যে দলে সুযোগ পেয়েছেন আফিফ নিজেকে প্রমাণ করতে চেয়েছেন। অবশেষে নিজের চেষ্টায় সফল হয়েছেন এই উঠতি তারকা। তাঁর কথায়, ‘আসলে আমার মাথায় সেটা কাজ করেনি। আমি গত এক বছরের বেশি সময় এইচপি (হাই পারফরম্যান্স) ও অন্যান্য দলে যত সুযোগ পেয়েছি, তা কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি এবং নিজেকে তৈরি করার চেষ্টাও ছিল। সেই চেষ্টাটাই কাজে লেগেছে।’