আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিল বাংলাদেশ

Looks like you've blocked notifications!

তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ রান, হতে দুই উইকেট। জয়ের সুবাস পাচ্ছিল বাংলাদেশ অনূধর্ব-১৯ দল। কিন্তু আম্পায়ারের  একটি ভুল সিদ্ধান্তে সব আশা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। যুব এশিয়ার কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে পাঁচ রানে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে লাল-সবুজের দল।

আম্পায়ার এলবিডব্লিউর ভুল সিদ্ধান্ত দিলে তানজিম হাসান সাকিব ১২ রানে সাজঘরে ফেরেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় ভারতীয় বোলার আনকোলেকারের করা বলটি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানের ব্যাটে লেগেছিল। এমনকি টিভিতেই বল ব্যাটে লাগার শব্দ শোনা যায়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে আউট ঘোষণা দেন আম্পায়ার। এর খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ দল। তাই ম্যাচে হেরে যায় তারা।

অবশ্য ম্যাচে ১০৭ রানের চোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১৬ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সে ধারাবাহিকতায় ৭৮ রানে আট উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। তবে নবম উইকেট জুটিতে তানজিম হাসান সাকিব ও রাকিবুল হাসান কিছুটা আশা জাগিয়েও পারেননি। ১০১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সংগ্রহ অধিনায়ক আকবর আলীর। তিনি ৩৬ বলে ২৩ রান করেন।   আর মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ২১ রান করেন।

এর আগে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও শামীম হোসেন। দুজনেই নেন তিন উইকেট করে। তাই শিরোপা যুদ্ধে ৩২.৪ ওভারেই ভারতের যুবাদের মাত্র ১০৬ রানে আটকে দিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় দলটি। দলীয় ৮ রানে হারিয়ে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে অবশেষে ১০৬ রানে গিয়ে থামে ভারতের যুবারা।

ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ বলে ৩৭ রান করেন কারান লাল। অধিনায়ক জুয়েল ৫৭ বলে ৩৩ রান করেন। অন্যরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।

ছয় ওভার বল করে মাত্র আট রানে তিন উইকেট নিয়েছেন শামীম হোসেন। বাঁহাতি পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তিন উইকেট নেন ১৮ রান খরচায়।