বিপিএলে থাকতে চায় ঢাকা ডায়নামাইটসও

Looks like you've blocked notifications!

ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিজেদের অর্থায়নে একাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত বুধবার সংবাদমাধ্যমে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এ ছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে টুর্নামেন্টের নাম দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’।

বিপিএল নিয়ে এমন সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বিসিবি সভাপতির ঘোষণার ২৪ ঘন্টার মাথায় সংবাদ সম্মেলন করেন  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কর্ণধার নাফিসা কামাল। সংবাদমাধ্যমে নিজেদের সব দাবি বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে থাকার জন্য বিসিবির নিকট অনুরোধ করেন নাফিসা কামাল।

নাফিসা কামালের পর আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রধান নির্বাহী ওবায়েদ নিজাম। গুলশানে ঢাকা ডায়নামাইটসের অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা তো জানেন বিপিএল নিয়ে অনেক কথাবার্তা শুরু হয়েছে।  প্রথমত, আমরা খুব খুশি ও ক্রিকেট বোর্ডকে সাধুবাদ জানাই যে বিপিএল আদতে বন্ধ হচ্ছে না। হয়তো আমরা থাকছি না সেটি ঠিক আছে। বঙ্গবন্ধুর শততম জন্ম বার্ষিকী নিয়ে টুর্নামেন্ট করতে যাচ্ছে। আমি মনে করি আমরা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারব। আমাদের যদি সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই আমরা তাদের সঙ্গে থাকব।’

অবশ্য শেষ পর্যন্ত সেটা না হয় সেক্ষেত্রে অফিশিয়ালি না থাকতে পারলেও বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বিসিবির সঙ্গে থাকতে চায় তারা। ওবায়েদ নিজাম বলেন, ‘বেশিরভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজিরা এই সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ যে আমরা এই বছর যুক্ত হতে পারছি না। তবে আশা করছি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে থাকতে পারব। আমাদের অনেক চাহিদা আছে, অনেক বক্তব্য ছিল। আমি মনে করি দুই তিন মাস যথেষ্ট নয় নতুন মডেল বানানোর জন্য। সভাপতি দুই দিন আগে যেটি বললেন, আমাদের বক্তব্যগুলো কাজে লাগাতে সময় লাগবে। তিনি আমাদের এক বছরের সময় দিতে চাচ্ছেন তাহলে আমাদের নতুন করে ২০২০ থেকে ফিরতে হবে।এই টুর্নামেন্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে সামনে। তাই এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হবে দেশের তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের উঠিয়ে নিয়ে আসা। আমি মনে করি উদ্যোগটি ভালো নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। আমাদের আসলে সবাই মিলে বসা দরকার। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা সবাই মিলে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে বসতে হবে। তাহলেই একটা সিদ্ধান্তে আসা যাবে।’