বাংলাদেশের সামনে কঠিন লক্ষ্য

Looks like you've blocked notifications!

বল হাতে শুরু থেকেই আফগানিস্তানকে কাঁপিয়ে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তুলে নেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম  উইকেট। সাইফউফুদ্দিনের সঙ্গে বল হাতে আলো ছড়ান সাকিব আল হাসানও। কিন্তু দুই বোলারের দুর্দান্ত দিনেও আফগানিস্তানের রানের গতি ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ নবির একার লড়াইয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অতিথি অধিনায়ক। কিন্তু আগে ব্যাট করতে নামার সুবিধা খুব একটা নিতে পারেনি আফগানরা।

ইনিংসের শুরু থেকেই আফগান ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন বাংলাদেশি বোলাররা। প্রথম বলেই ওপেনার রহমতউল্লাহ্‌কে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড করে ছন্দে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান সাইফউদ্দিন।

দ্বিতীয় ওভারে আবারো উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এবার আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। আরেক আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকে লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফেরার আগে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান যোগ করেন জাজাই। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভার বল করতে এসে আবারো সাইফউদ্দিন ম্যাজিক। এবারের শিকার নাজিব। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাজিবউল্লাহকে ফিরিয়ে দেন সাকিব।

৪০ রানে চার উইকেট হারানোর পর আসগর আফগান ও মোহাম্মদ নবির ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৭৯ রান। ১৭তম ওভারে আসগরকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন। ফেরার আগে ৩৯ রান করেন তিনি। একই ওভারে একই ওভারে গুলবাদিন নায়েবকেও ফিরিয়ে দেন সাইফউদ্দিন।

কিন্তু বাকিদের থামাতে পারলেও মোহাম্মদ নবিকে থামাতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে একাই ঝড় তোলেন এই অলরাউন্ডার। তাতে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেটে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। ইনিংস শেষে ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন নবি। মাত্র ৫৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল সাতটি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারি।

বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

এরআগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই দলই জিতেছে। এবার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় নিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে যাইতে চাইবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান উভয়ই।    

বাংলাদেশ একাদশ : সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার, লিটস দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাব্বির রহমান, তাইজুল ইসলাম, সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাই, নাজিব তারাকাই, আসগর আফগান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, ফরিদ আহমেদ, মুজিব উর রহমান।