‘দ্বিতীয় বাড়িতে’ মাসাকাদজার রঙিন বিদায়

Looks like you've blocked notifications!

২০০৬ সালে খুলনায় বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পা রাখেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। সেই বাংলাদেশেই আজ শুক্রবার টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। তবে বিদায় বেলায় সতীর্থদের হতাশ করেননি মাসাকাদজা। মাত্র ৪২ বলে ৭১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি।

টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়ার আরো পাঁচ বছর আগে ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারারেতে টেস্ট দিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেন মাসাকাদজা। সে সময়টা ছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের স্বর্ণযুগ। কিন্তু যখ্ন ক্রিকেটকে বিদায় বলছেন, তখন করুণ অবস্থা দেশটির ক্রিকেটও। রাজনীতি আর দুর্নীতির কালো ছায়ায় বেহাল দশা। তবে সবকিছুর পরও মাসাকাদজাকে বিদায় দিতে ত্রিদেশীয় সিরিজটি উপহার দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

১৯ বছরের ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের সঙ্গে দারুণ একটা বন্ধনে জড়িয়ে ছিলেন মাসাকাদজা। জাতীয় দলের হয়ে তো বটেই, ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ বা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলতে অসংখ্যবার বাংলাদেশে এসেছেন। মাসাকাদজা নিজেই বলেছেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে আমার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। সেই বাংলাদেশেই আজ রঙিন ইনিংস দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।

পুরো ক্যারিয়ারে নানা সময় আক্ষেপের সঙ্গী হয়ে ছিলেন মাসাকাদজা। পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত জীবনের খাতিরে অভিষেকের পরেও ক্রিকেট থেকে নিজেকে তিন বছর গুটিয়ে রেখেছেন। স্বেচ্ছায় গুটিয়ে রাখার কারণে আরো কয়েক বছর টেস্টে খেলতে পারেননি।

তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাসাকাদজার শুরুটা ছিলো দুর্দান্ত। ২০০১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টেই খেলেছিলেন ৩১৬ বলে ১১৯ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। যা ছিল সেই সময়ে অভিষেক টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরির রেকর্ড। তাঁর সে রেকর্ডে ভর করে সে ম্যাচে ড্র করে জিম্বাবুয়ে। তবে এরপর আর তেমন জ্বলে ওঠেননি তিনি।

লম্বা ক্যারিয়ারে জিম্বাবুয়ের জার্সি গায়ে ৩৮ টেস্ট, ২০৯ ওয়ানডে এবং ৬৬ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাসাকাদজা। এর মধ্যে ওয়ানডে ও টেস্টে ছিল সমান ৫টি করে সেঞ্চুরি। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ৩০ গড়ে করেছেন ২২২৩ রান। ওয়ানডেতে করেছেন ৫৬৫৮ রান। ৬৬ টি-টোয়েন্টিতে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৬৬২ রানের মালিকও ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।