লোকমান ইস্যুতে মুখ খুললেন বিসিবিপ্রধান

Looks like you've blocked notifications!

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, লোকমান তাঁর বন্ধু হলেও কোনোদিন জানাননি যে মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো আছে। বিসিবি প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, লোকমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিসিবি তাঁকে একচুল পরিমাণও ছাড় দেবে না।

গত বুধবার রাতে লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ সময় তাঁর বাসা থেকে মদ উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে আটক দেখায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লোকমানের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।

আজ শুক্রবার সেই মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া ক্যাসিনোর জন্য ক্লাবকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মোহামেডানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে।

মোহামেডান ক্লাবের পাশাপাশি লোকমান বিসিবির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লোকমান ইস্যুতে আজ রাজধানীর গুলশানের নিজ বাসায় সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়, তখন অবশ্যই তাঁর (লোকমান) বিরুদ্ধে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এখনই এটার বিষয়ে বলা কঠিন। আমার কথা হচ্ছে, যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তাহলে তাঁর বিচার হবে। এখানে কোনো ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই। আমি বিসিবিতেও ছাড় দেব না। বিসিবিতেও কখনো আমি ছাড় দিইনি।’

লোকমানের মোহামেডান ক্লাবে যে একটি ক্যাসিনো আছে, সে বিষয়েও জানতেন না উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমাকে লোকমান কোনোদিন বলেননি যে ক্লাবে একটি ক্যাসিনো আছে। এটা কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার! সে কিন্তু আমার বন্ধু! আমি নিজেও জানতাম না, আমাকে কখনো বলেনি। এখন দেখা যাক, সব বের হয়ে আসবে।’

কয়েক দিন ধরে দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্লাবে পুলিশি অভিযান চলছে। বন্ধ করা হচ্ছে জুয়ার আসরগুলো। জুয়া বন্ধ করার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশংসা করেন পাপন।

বিসিবিপ্রধান বলেন, ‘কেউ যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে তাঁর শাস্তি হবে। এটাতে কারো কোনো দ্বিমত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপটি নিয়েছেন, এটাকে ভালো না বলার কোনো কারণ নেই। কারণ, এমন একটা সাহসী পদক্ষেপ তাঁর পক্ষেই নেওয়া সম্ভব, আর কারো পক্ষেই নেওয়া সম্ভব না।’

‘মানে এটা তো আজকের না, হঠাৎ করে না। অনেক বছর ধরে হয়ে আসছে। আমি মনে করি, এখন যেহেতু এটি প্রক্রিয়াধীন আছে, যেমন ধরেন দুদক থেকে সম্পদের হিসাব তো অনেকের কাছেই যায়, যে কারো কাছেই যেতে পারে দুদক। এটার মানে এখনই বলা যাবে না যে, তিনি অনৈতিক বা বেআইনি কোনো কাজ করেছেন।’

নাজমুল হাসান পাপন আরো বলেন, ‘লোকমান হোসেন ভূঁইয়া তিনি ক্লাব ভাড়া দিয়েছেন। অবশ্যই তিনি যদি ক্যাসিনোর কাছে ভাড়া দিয়ে থাকেন এবং তাঁর সঙ্গে যদি সংশ্লিষ্টতা থাকে, তাহলে বিচার হবে। এর বাইরে কিছু নয়। এখানে না হওয়ার তো কারণ নেই। যাঁরা থাকবে, তাঁরাই ধরা পড়বেন এবং তাঁদের বিচার হবে। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হোক। আসল যারা দোষী আছে, তারা ধরা পড়ুক।’