চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চোট কাটিয়ে ফেরা লিওনেল মেসিকে শুরুর একাদশে নামিয়ে সবাইকে চমকে দেন বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দে। কিন্তু দলের সেরা তারকা ফেরার দিনে বার্সার নায়ক হয়ে ওঠেন লুইস সুয়ারেজ। দুর্দান্ত দুই গোলে বার্সাকে চলতি লিগের প্রথম জয় উপহার দেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার।

ক্যাম্প ন্যুতে আজ বুধবার ইন্টারকে ২-১ গোলে হারায় বার্সেলোনা। অথচ জয়ের নায়ক সুয়ারেজকে নানা সময়ে কতই না সমালোচনায় পড়তে হয়েছে। কিন্তু ক্যারিয়ারের খারাপ সময়ে ভেঙে পড়েননি সুয়ারেজ। বরং বারবার ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেকে দলের অন্যতম একজন হিসেবেই প্রমাণ করেছেন এই স্ট্রাইকার। আজ ইন্টারের বিপক্ষে জয়ের পরও জানালেন, কখনো হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি।

ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমে সুয়ারেজ বলেন, ‘স্ট্রাইকার হওয়ায় আপনি সব সময় চাইবেন গোল করে বা করিয়ে দলকে সহায়তা করতে। আমি নিজেকে কঠোর পরিশ্রমী বলে মনে করি। আমি কখনোই হাল ছাড়ি না।’

এদিন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই পুরো বার্সেলোনা শিবিরকে স্তব্ধ করে ম্যাচে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। কিন্তু দুর্দান্ত লুইস সুয়ারেজ ম্যাচ হাতছাড়া হতে দেননি। তবে পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা চাপে ছিলেন বলেই জানালেন এই স্ট্রাইকার,‘প্রথমার্ধের ভুলগুলো শুধরে নিতে আমরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। আমরা জানতাম যে এভাবে খেলতে থাকলে আমরা হেরে যেতে পারি। কিছুটা চাপে ছিলাম তবে আমরা ধৈর্য্য ধরেছিলাম কারণ আমরা সুযোগ তৈরি করছিলাম।’

কাম্প ন্যুতে ম্যাচের শুরুতেই ইন্টারকে এগিয়ে দেন লাউতারো মার্টিনেস। এরপর ৫৮তম মিনিটে সুয়ারেজের গোলে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ভিদালের নেওয়া ক্রসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন উরুগুয়ে তারকা। আর শেষের দিকে ৮৪ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে বার্সাকে স্বস্তির জয় এনে দেন সুয়ারেজ। সেই গোলে অবদান ছিল মেসির। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পাশ কাটিয়ে সুয়ারেজকে বল ডি-বক্সে পাঠান তিনি। সতীর্থের বাড়ানোর বল ধরে আলতো ছোঁয়ায় জালে ঠেলে দেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার। তাতে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে বার্সেলোনা।