উদ্দেশ্য সফল হওয়ায় সন্তুষ্ট মাহমুদউল্লাহ

গত আয়ারল্যান্ড সফর থেকে কাঁধের চোটে ভুগছিলেন মাহমুদউল্লাহ। যার জন্য ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে বল করতে পারেননি। মাঝে অস্ত্রোপচারের কথা বলেছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সেখানেও ছিল যদি-কিন্তুর হিসাব। কারণ, অস্ত্রোপচার করলেও পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার নিশ্চয়তা ছিল না।
যার কারণে অস্ত্রোপচারের দিকে না গিয়ে বিশ্রামে থেকে ধীরে ধীরে চোট কাটিয়ে ওঠেন মাহমুদউল্লাহ। নিজের চেষ্টায় মোটামুটি সফল বলাই যায় এই অলরাউন্ডারকে। চলমান জাতীয় লিগে তাঁর বোলিং পারফরম্যান্স অন্তত সেটাই বলছে। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে মাহমুদউল্লাহ নিজেও সন্তুষ্ট।
জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্রোর হয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে ৬৩ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। আর বল হাতে দুই ইনিংসে সমান তিনটি করে মোট ৬টি উইকেট নিয়েছেন। শুধু উইকেট নয়, রান দেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ সচেতন ছিলেন এই অলরাউন্ডার।
ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হন মাহমুদউল্লাহ। ম্যাচ শেষে নিজের সন্তুষ্টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, মাঝে আমার কাঁধের ইনজুরি ছিল। সাত মাসের মতো আমি বোলিং করতে পারিনি। তাই আমি উদগ্রীব ছিলাম কিছু ওভার বল করতে। আলহামদুলিল্লাহ, সেটি করতে পেরেছি। আমার বোলিং প্র্যাকটিসটাও ভালো হলো। কারণ আমিও চাচ্ছিলাম, যত বেশি ওভার বল করা যায়। এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিল।’
মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, বোলিংয়ের সফলতা তাঁকে ব্যাটিংয়ে আরো আত্মবিশ্বাস জোগাবে। তিনি বলেন, ‘বোলিং আমি সব সময় করতে চাই। আমি মনে করি, এটা আমাকে বাড়তি সুবিধা বা বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেয় আমার ব্যাটিংয়ে। তবে ব্যাটিংয়ে যদি তিন অঙ্ক ছুঁতে পারতাম, তাহলে আরেকটু ভালো লাগত। চেষ্টা করেছিলাম। পিচে দ্বিতীয় দিনে, এমনকি তৃতীয় দিনেও বোলারদের জন্য সুবিধা ছিল স্পিনার ও পেসার সবার জন্য। ব্যাটসম্যানরা সবাই চেষ্টা করছিল, আমিও চেষ্টা করছিলাম। আমি প্রথম দুই রান মনে হয় ৩০-৩২ বলে করেছিলাম। প্রথমে টিকে থাকতে চেয়েছিলাম, যাতে পরে লাভটা তুলে নিতে পারি। চেষ্টা করেছিলাম।’