নতুন স্টেডিয়ামে ২০২৩ বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টায় বিসিবি
ঐতিহ্য আর শিল্পের মেলবন্ধে রাজধানীর পূর্বাচলে তৈরি হবে দেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসমৃদ্ধ স্টেডিয়ামটির নাম হবে ‘দ্য বোট—শেখ হাসিনা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম’। আশার কথা হলো, নতুন স্টেডিয়ামটিতে ২০২৩ বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
২০২৩ বিশ্বকাপের একক আয়োজক হতে যাচ্ছে ভারত। তবুও বাংলাদেশ চেষ্টা করছে টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক হয়ে কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে। দুবাইয়ে আইসিসি সভা শেষে দেশে ফিরে বিষয়টি জানালেন বিসিবি সভাপতি।
উপমহাদেশে এখন পর্যন্ত একক আয়োজনে কোনো বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে চলমান এই প্রথা ভেঙে ২০২৩ সালে একক আয়োজক হতে যাচ্ছে ভারত। এর মধ্যেই বিসিবি চাইছে, বিশ্বকাপের কিছু ম্যাচ নতুন স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে।
এ ব্যাপারে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি (সহ-আয়োজক হতে)। যদি আমাদের নতুন স্টেডিয়ামটি (পূর্বাচলে) করতে পারি, কিছু ম্যাচ এখানে নিয়ে আসার বিষয়টি উত্থাপন করা আমাদের জন্য সহজ হবে। সম্ভাবনা একেবারে যে নেই, তা নয়। যদিও এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে এখনো আলোচনা হয়নি। তবে চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা।’
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইর নতুন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আশায় থাকবে বাংলাদেশ। সৌরভের সভাপতি হওয়া নিয়ে যার কারণে বেশ খুশি নাজমুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এটা খুব ভালো খবর যে সৌরভ গাঙ্গুলী বিসিসিআইর সভাপতি হয়েছেন। আমাদের জন্য এটা খুবই ভালো হবে। আমাদের সঙ্গে তাঁর সব সময়ই ব্যক্তিগত পর্যায়ে সম্পর্ক ছিল। এটা আরো ভালো হবে।’
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। যার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে বিসিবি। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা হবে কমপক্ষে ৫০ হাজার। স্টেডিয়ামটির সঙ্গে তৈরি করা হবে ইনডোর একাডেমি, সুইমিংপুল ও জিমনেশিয়াম। সঙ্গে একটি পাঁচতারকা হোটেল তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।