সাক্ষাৎকার

‘সুনীল ছেত্রী বাদে বাংলাদেশ-ভারত সমান’

Looks like you've blocked notifications!
Vestibulum ante ipsum primis in faucibus orci luctus et ultrices posuere cubilia Curae; Fusce id purus. Aliquam lobortis. Phasellus dolor. Curabitur suscipit suscipit tellus. In turpis. test 2

বাংলাদেশ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার মামুনুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে ভারতের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা ম্যাচে এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার ছিলেন একাদশের বাইরে। সাইডবেঞ্চে বসে সতীর্থদের খেলা দেখে খুবই মুগ্ধ তিনি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো :

প্রশ্ন : কলকাতার মাটিতে ভারতকে আটকে দেওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ দলের জন্য?

মামুনুল : আমরা খুবই ভালো খেলেছি ভারতের বিপক্ষে। আমরা জিততেও পারতাম সুযোগ নষ্ট না করলে। তবে এই এক পয়ে‌ন্ট আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে।

প্রশ্ন : এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ফুটবল ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে?

মামুনুল : আমাদের ফুটবল এখন কিছুটা বদলেছে, উন্নতি করছে। বিশেষ করে ক্লাব পর্যায়ে। এএফসি ক্লাব কাপে আবাহনী সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। হারিয়েছিল বড় একটি ক্লাবকে। তার পর থেকে এশিয়ার সেরা দলগুলোর মধ্যে আমাদের নাম ঢুকে পড়ে। কাতারের সঙ্গে ১-০ গোলে হারছিলাম, শেষে মুহূর্তে আরেক গোল হজম করতে হলো। সেই ম্যাচটিও আমরা ভালো খেলেছিলাম। এটাই প্রমাণ, আমরা উন্নতি করছি।

প্রশ্ন : নতুন দায়িত্ব নেওয়া এই কোচ কতটা বাংলাদেশের ফুটবলে বদল আনতে পেরেছেন?

মামুনুল : এক বছর হলো এই কোচ এসেছেন। তিনি আসায় অনেক কিছু বদলেছে। নতুন প্রজন্মকে তুলে এনেছেন। তরুণ প্রতিভারা দলে আসায় মরিয়া হয়ে সবাই সেরাটা দিচ্ছে। এই কোচ আমাদের দেশের জন্য যেমন সিস্টেমে খেলা সম্ভব, সেটাই নিয়ে এসেছেন দলের মধ্যে।

প্রশ্ন : ভারতের সঙ্গে এই ফলটা প্রত্যাশিত ছিল?

মামুনুল : উপমহাদেশের সব দলই ৫০-৫০। আগাম বলা খুব মুশকিল, কে সেরা! র‍্যাঙ্কিং খুব একটা এ ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে না। তবে বাংলাদেশ-ভারত সব সময়ই হাইভোল্টেজ ম্যাচ। ওই ৯০ মিনিট যে দল সেরাটা দেবে, সেই জিতবে।

প্রশ্ন : অনেকেই বলে থাকেন বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের ফুটবলকে এগিয়ে আছে। আপনি কী বলবেন?

মামুনুল : কাগজে-কলমে ভারত আমাদের চেয়ে এগিয়ে। ভারতের ফুটবলের পরিবেশ বদলেছে। খেলোয়াড়রা ভালো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। তবে খেলোয়াড়দের মধ্যে সুনীল ছেত্রী ছাড়া কোয়ালিটির দিক থেকে আমাদের আর ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

প্রশ্ন : কিন্তু এই ম্যাচে তো সুনীলকে খুঁজেই পাওয়া গেল না, সে কারণেই কি আপনারা কিছুটা এগিয়ে থাকলেন?

মামুনুল : একদমই না। যদি ভালো করে লক্ষ্য করেন, তা হলে দেখবেন— ভারতের পজিটিভ আক্রমণগুলো কিন্তু সুনীলের ভূমিকাতেই এসেছে। ওই আক্রমণ তৈরি করেছে।

প্রশ্ন : ভারতের ফুটবলের যে বদলের কথা বলছেন সেটা বাংলাদেশ ফুটবলে আসছে না কেন?

মামুনুল : বাংলাদেশের ফুটবলও বদলাচ্ছে। আগে অনেক কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতাম। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে, বেশি করে খেলতে। ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে আসার আগে আমরা প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছি, যেটা আগে হতো না।

প্রশ্ন : কী উন্নতি লক্ষ্য করছেন বাংলাদেশ দলের খেলায়?

মামুনুল : গতবার বাছাই পর্ব থেকে যদি এক পয়েন্ট পেয়ে থাকি আর এ বার যদি তিন পয়েন্ট নিয়ে শেষ করতে পারি, সেটাই আমাদের উন্নতি।

প্রশ্ন : আপনি যখন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন, তখনো দল সাফল্য পেয়েছে। এই দলের সঙ্গে পার্থক্য কোথায়?

মামুনুল : আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম তখন আমরা ‘অ্যাটাকিং ফুটবল' খেলতাম। বেশ কিছু ভালো ম্যাচ খেলেছি। এখন আমরা ‘কাউন্টার অ্যাটাক’ নির্ভর ফুটবল খেলি। সেখানে বড় বড় ম্যাচে ফল পাচ্ছি। পার্থক্য এটাই। আসল তো রেজাল্ট।

প্রশ্ন : এই ম্যাচটা নিয়ে কী বলবেন, বাংলাদেশ কোথায় এগিয়ে থাকল ভারতের চেয়ে?

মামুনুল : আমরা কোনো সুযোগ দিইনি ভারতকে। সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। আবার অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। ভারত তেমন ভাবে সুযোগ পায়নি। ছেত্রীর নিশ্চিত গোল দুটো সেভ হয়ে যাওয়াটাই আমাদের খেলায় ভীষণ ভাবে রেখে দিয়েছিল।

প্রশ্ন : কলকাতার ফুটবল সমর্থকদের নিয়ে কী বলবেন?

মামুনুল : কলকাতার ফুটবল নিয়ে পাগলামির কথা গোটা বিশ্ব জানে। সেটা বদলায়নি। আগের মতোই  আছে। দশর্করা গ্যালারি থেকে যখন চিৎকার করেন, তখন মনে হয় আমার জন্য করছে। আর এটাই জাগিয়ে দেয়।