এখন কিছু বলতে চান না মাশরাফি
বেতন বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেটাররা। আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো তুলে ধরেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমসহ সাবেক-বর্তমান তারকারা।
কিন্তু সেখানে ছিলেন না বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কেন তিনি ছিলেন তা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি।
ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের বিষয়ে মাশরাফি কিছু বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ‘যখন ক্রিকেট নিয়ে কথা বলব তখন ক্রিকেটের কথা, এখন ক্রিকেট নিয়ে কথা নয়। এখন এই বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্বকাপের পরে আর ক্রিকেট নিয়ে কথা বলছি না আমি, আবার যখন ফিরব তখন কথা হবে।’
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসর বিপিএলে দেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি ও দৈনিক ও ভ্রমণ-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দেন ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, ‘ক্রিকেটারদের বিষয়টি আরো ভালোভাবে দেখা উচিত। আমরা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কোনো পরিকল্পনা দেখছি না। আমরা শুধু চলমান সিরিজের ওপর নজর রাখি। শুধু বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের বেলায় আমরা হয়তো ছয় থেকে আট মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করি। এটা ছাড়া আমরা শুধু চলমান সিরিজ নিয়েই চিন্তা করি।’
বিষয়টি নজরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি)। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী এ ব্যাপারে বলেন, ‘খেলোয়াড়েরা আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। পরবর্তী বোর্ড সভা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বিভিন্ন সময় তাদের নানা দাবি-দাওয়া আসে। আমরা চেষ্টা করি সে সব পূরণ করতে। আজ আমাদের বিষয়টি নজরে এসেছে। অবশ্যই আমরা বোর্ড সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
অবশ্য খেলোয়াড়দের এই আন্দোলনকে বিদ্রোহ বলতে নারাজ নিজামউদ্দিন চৌধুরী, ‘খেলোয়াড়েরা বোর্ডেরই অংশ। যেকোনো বিষয়-সমস্যা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।’
এমন এক সময়ে এই ধর্মঘটের ডাক দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা, যখন আগামী মাসেই একটি দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট সিরিজ খেলবার জন্য ভারত যাওয়ার কথা রয়েছে জাতীয় দলের।