‘শাস্তিতে সাঁতারু অজ্ঞান’, ক্ষুব্ধ বিদেশি কোচের পদত্যাগ

Looks like you've blocked notifications!

আগামী ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমসের এবারের আসর। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনে ঘটে গেল অপ্রীতিকর ঘটনা। রাত জেগে বাংলাদেশি সাঁতারুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আসক্ত হওয়ার অভিযোগ শুনে তাঁদের নানাভাবে শাস্তি দিতে থাকেন স্থানীয় কোচরা। শাস্তির মাত্রা সহ্য করতে না পেরে সুইমিংপুলের টাইলসের ওপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান সাঁতারু শরীফা আক্তার মীম। সাঁতারুদের প্রতি এমন নিষ্ঠুরতা দেখে মুহূর্তের মধ্যে পদত্যাগ করে নিজ দেশে ফিরে গেছেন কোচ তাকিও ইনোকি। 

গত ৬ সেপ্টেম্বর সাঁতারের কোচ হয়ে বাংলাদেশে আসেন ইনোকি। অথচ মাত্র দেড় মাসের মাথায় অনেকটা বিরক্ত হয়েই বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন ছাড়তে হলো এই জাপানি কোচকে।

ঘটনাটি ঘটে গত রোববার। ইনোকির অধীনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে সিনিয়র জাতীয় দলের সাঁতারুরা অনুশীলন করছিলেন। পাশেই অনুশীলন করছিল জুনিয়র জাতীয় দলও (ট্যালেন্ট হান্ট দল)। কিন্তু হঠাৎ করে জাপানিজ কোচ দেখেন, নিয়ম ভেঙে মোবাইল ব্যবহার করার অপরাধে জুনিয়র সাঁতারুদের গরমের মধ্যে নানাভাবে শাস্তি দিচ্ছেন স্থানীয় কোচরা। শাস্তির তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে সাঁতারু শরীফা আক্তার মীম অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

এমন পরিস্থিতি দেখে স্থির থাকতে পারেননি জাতীয় দলের কোচ ইনোকি। জ্ঞান হারানো শরীফাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। তখন স্থানীয় কোচরা উল্টো হাসাহাসি করে বলেন, ‘আসলে ওর কিছুই হয়নি। ও ভান ধরে শুয়ে আছে।’

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পদত্যগ করেন সাঁতারু কোচ। সেদিন সন্ধ্যায়ই বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন ছেড়ে নিজে দেশে ফিরে যান জাপানি কোচ।

বাংলাদেশ ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে ইনোকি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি লিখেছেন, ‘সাঁতারুদের শারীরিক শাস্তি দেওয়াটা কখনো উচিত নয়। যারা এমন শাস্তি দেয়, সেই সংস্থা বা কোচদের সঙ্গে কোনো কাজ করতে চাই না। এ ঘটনার কারণে আমি বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিলাম। কখনোই বাংলাদেশের সাঁতারের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখব না।’