লড়াইয়ের উত্তাপ ছাপিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা
ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে আকর্ষণীয়, সবচেয়ে উত্তেজনার লড়াই বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচ। স্প্যানিশদের কাছে যার আরেক নাম ‘এল ক্লাসিকো’। শনিবার রাতে রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মৌসুমের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’র আগে কিন্তু দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইয়ের উত্তাপ ছাপিয়ে নিরাপত্তা নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। বলা বাহুল্য, গত শুক্রবার প্যারিসে মর্মান্তিক সন্ত্রাসী হামলাই পাল্টে দিয়েছে ‘এল ক্লাসিকো’র চেনা ছবিটা।
অথচ নিরাপত্তা নয়, আগ্রহের কেন্দ্রে থাকার কথা লিওনেল মেসির সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন। হাঁটুর চোট দুই মাস ধরে খেলার বাইরে রেখেছে আর্জেন্টাইন তারকাকে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। বার্নাব্যুতেও নামতে পারবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। মেসি অবশ্য কয়েক দিন ধরেই দলের সঙ্গে পূর্ণ উদ্যমে প্র্যাকটিস করছেন। তবু মেসি-রোনালদোর আরেকটা আকর্ষণীয় দ্বৈরথ দেখা যাবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
তবে দুই ফুটবল মহারথীর লড়াইয়ের চেয়েও আপাতত নিরাপত্তা নিয়ে বেশি আলোচনা। স্পেনের সরকারি কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে দুই হাজার ৪০০ পুলিশ। পাশাপাশি অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষী ও জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মীরা তো থাকবেই। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর চারপাশে তিন স্তরের নিরাপত্তাবলয়ও গড়ে তোলা হবে।
প্যারিসে হামলার সময় ফ্রান্স-জার্মানি প্রীতি ম্যাচ চলছিল স্তাদ দে ফ্রান্সে। সে সময় ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামটির খুব কাছেই তিনটি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছিলেন। মাদ্রিদে যেন তেমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, তার জন্যই এমন কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা।
খেলার চেয়ে নিরাপত্তা নিয়ে বেশি হৈচৈ হলে অন্তত খেলোয়াড়দের ভালো লাগার কথা নয়। বার্সেলোনার অধিনায়ক আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা তো এ ব্যাপারে বেশ বিরক্তই, ‘এটা খুব লজ্জাজনক যে মানুষ খেলা, ফুটবল বা অন্য কোনো আকর্ষণীয় বিষয়ে কথা বলছে না। অবশ্য এটাই এখন আমাদের জীবনের বাস্তবতা। আমরা এটাকে উপেক্ষা করতে পারব না। তারপরও আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার চেষ্টা করতে হবে।’