মাশরাফি-ঝড়ে কুমিল্লার ১০০ পার
মাশরাফি বিন মুর্তজা শুধু বল হাতে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন না, ব্যাট হাতে ঝড় তুলতেও সক্ষম। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে তা প্রমাণ করলেন তিনি। দলের মহাবিপদে জ্বলে উঠে ২৫ রান করেছেন মাশরাফি। তাই ৬৬ রানে সাত উইকেট হারালেও ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত আট উইকেটে ১১০ রান করতে পেরেছে ভিক্টোরিয়ানস।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফি টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শুরু থেকেই ধুঁকতে শুরু করেছে কুমিল্লা। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে গেছেন ইমরুল কায়েস। আবুল হাসানের করা ইনিংসের তৃতীয় বলটি ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন জাতীয় দলের বাঁ-হাতি ওপেনার। কিন্তু টাইমিং ঠিক হয়নি, বল উঠে গেছে আকাশে। মিড-অফে ক্যাচটা ধরতে সমস্যা হয়নি ফরহাদ রেজার। কয়েকদিন আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো খেলা ইমরুলকে তাই বিপিএল শুরু করতে হয়েছে শূন্যহাতে।
পরের ওভারে আবার ধাক্কা। এবার ফরহাদকে তুলে মারতে গিয়ে মিড-অনে মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েছেন লিটন দাস (৩)। তৃতীয় ওভারে আবার হাসানের আঘাত। এবার ইয়াসির শাহকে ক্যাচ দিয়েছেন শুভাগত হোম (৪)।
হালের ‘সেনসেশন’ মুস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নিয়েছেন চতুর্থ ওভারে। আর শুরুতেই সাফল্য। মুস্তাফিজের এক দুর্দান্ত বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মারলন স্যামুয়েলসের (৮) ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে স্টাম্পে আঘাত করেছে। অষ্টম ওভারে ড্যারেন স্টিভেন্স (৫) রান আউট হয়ে দলকে আরো বিপদে ফেলে দিয়েছেন।
৩৬ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করছিলেন মাহমুদুল হাসান ও আরিফুল হক। কিন্তু দুজনের ২৩ রানের জুটি ভেঙে দিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ষষ্ঠ সাফল্য এনে দিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন। আরিফুলকে (১৩) স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। দুই ওভার পর মাহমুদুলকেও (২২) অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি করেছেন মোশাররফ।
১৪তম ওভারে ৬৬ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা তখন দিশেহারা। তবে মাশরাফি আর কৃশমার স্যান্টোকির দৃঢ়তায় ১০০ পার হয়েছে তারা। শেষ ওভারে আউট হওয়া মাশরাফির ২৬ বলে ২৫ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংসে ছিল দুটি বিশাল ছ্ক্কা। স্যান্টোকি ১৬ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
২৯ রানে তিন উইকেট নিয়ে আবুল হাসান ঢাকার সফলতম বোলার। ১৫ রানে মোশাররফের শিকার দুই উইকেট।