১৫ রানে চার উইকেট ফেলে দিলেও বরিশাল বুলসকে অল্প রানে বেঁধে রাখতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। সাকিব আল হাসানের দলের সামনে লক্ষ্যটা বেশ বড় ছিল—১৫৬ রানের। বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে জিততে পারেনি রংপুরের দলটি। ১৩ রানে জিতে বিপিএলে শুভ সূচনা করেছে বরিশাল বুলস।

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শুরুটা ঝড়ের বেগে করেছিলেন সৌম্য সরকার। মোহাম্মদ সামির করা প্রথম ওভারেই দুটো চার মেরে বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জাতীয় দলের বাঁ-হাতি ওপেনার। তবে নিজের পরের ওভারেই বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা-বধের নায়ককে ব্রেন্ডন টেলরের গ্লাভসবন্দি করে প্রতিশোধ নিয়েছেন পাকিস্তানের অভিজ্ঞ পেসার। বেশিক্ষণ না টিকলেও মাত্র সাত বলে চারটি চারসহ ১৭ রান করে রংপুর রাইডার্সকে ঝড়ো সূচনা এনে দিয়েছেন সৌম্য।

বাঁ-হাতি স্পিনে তিন উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে আবার ব্যর্থ সাকিব। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে করেছিলেন এক রান। সোমবার কিছুটা ‘উন্নতি’ হওয়া বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অবদান ৬ রান। এবার কেভন কুপারকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডল সিমন্সও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার সিক্কুগে প্রসন্নর বলে আউট হওয়ার আগে ১৯ রান করেছেন তিনি।

তবে রংপুর রাইডার্সকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছেন কুপার। আগের ম্যাচে রংপুরের জয়ের নায়ক মিসবাহ-উল হককে কট বিহাইন্ড করেছেন এই ক্যারিবীয় পেসার। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ রান।

মিসবাহর বিদায়ে স্কোর দাঁড়ায় ৬৬/৪। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মোহাম্মদ মিঠুন ও থিসারা পেরেরা। শুরুতে সতর্ক থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন দুজনে। বিশেষ করে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মিঠুন।

১৭ রান করে পেরেরা রান আউট হওয়ার পর মিঠুনও টিকতে পারেননি। তবে যাওয়ার আগে ৩২ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। কিন্তু তা রংপুর রাইডার্সকে জয় এনে দিতে পারেনি। ১৪২ রানে থেমে গেছে তারা।

মাত্র ১৫ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে বরিশালে জয়ে বড় অবদান কুপারের।