চেলসি থেকে বরখাস্ত মরিনিয়ো
ধৈর্যের বাঁধ শেষ পর্যন্ত ভেঙেই গেল চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচের। তাঁর দল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। গতবারের মতো এবারও অনেক টাকা খরচ করে শক্তিশালী দল গড়েছে চেলসি। অথচ এবারের ইপিএলে ‘ব্লুজ’ নামে পরিচিত চেলসির ভীষণই দুরবস্থা। ২০ দলের লিগে ১৬তম স্থানে থেকে অবনমনের শঙ্কায় পড়ে যাওয়ার দলটির বেহাল দশার জন্য অনেক চেলসি-ভক্তেরই আসামির কাঠগড়ায় জোসে মরিনিয়ো। আব্রামোভিচও তাঁর দলের কোচের ওপরে আর আস্থা রাখতে পারেননি। গতবার লন্ডনের ক্লাবটিকে দুটো শিরোপা এনে দিলেও এবার ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে মৌসুমের মাঝপথেই বরখাস্ত হলেন মরিনিয়ো।
বিদায়বেলায় স্বঘোষিত ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেনি চেলসি। ক্লাবের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘২০১৩ সালের গ্রীষ্মে কোচ হিসেবে ফেরার পর বিশাল অবদান রাখা জোসেকে চেলসি কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানাচ্ছে। দুই দফায় তিনটি লিগ শিরোপা, এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড আর তিনটি লিগ কাপ জয় তাঁকে ক্লাবের ১১০ বছরের ইতিহাসে সফলতম কোচে পরিণত করেছে। তবে জোসে আর ক্লাব দুই পক্ষই বুঝতে পারছে যে এ মৌসুমে ফলাফল যথেষ্ট ভালো হচ্ছে না। সবার বিশ্বাস, বৃহত্তর স্বার্থে দুই পক্ষের বিচ্ছিন্ন হওয়াই সবচেয়ে মঙ্গলজনক।’
শুধু মাঠের ফলাফল নয়, চেলসির ড্রেসিংরুমেও ইদানীং বিভাজনের কালো মেঘ। গত সোমবার লেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়ার পর (যা লিগে চেলসির নবম পরাজয়) মরিনিয়ো কয়েকজন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগও এনেছিলেন।
তবে সেই খেলোয়াড়রা নয়, চেলসি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো বরখাস্ত হয়ে ৫২ বছর বয়সে আবারো চাকরি খুঁজতে হবে মরিনিয়োকে। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রথম দফায় চেলসির কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।