অবশেষে জয় পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
টানা ছয় ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকার পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সোয়ানসি সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে বছরের শুরুটাও করেছে ভালোভাবে। প্রিমিয়ার লিগের অপর দুই ম্যাচে এক গোলের ব্যবধানে জয় পেয়েছে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটি।
আর্সেনাল ১-০ গোলে হারিয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। বছরের প্রথম ম্যাচে ঘাম ঝরানো এই জয় দিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানটাও পাকাপোক্ত করেছে আর্সেনাল। শিরোপার আরেক প্রধান দাবিদার ম্যানচেস্টার সিটিকেও বছরের প্রথম ম্যাচে জয় পেতে ভালোই ঘাম ঝরাতে হয়েছে। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে শুরুতে এক গোলে পিছিয়ে পড়লেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির শিষ্যরা।
নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে সোয়ানসির বিপক্ষে প্রথমার্ধটা গোলশূন্য সমতা নিয়ে শেষ করেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৪৭ মিনিটের মাথায় ম্যানইউকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অ্যান্থনি মার্শাল। ৭০ মিনিটের মাথায় এই গোল শোধ করে খেলায় সমতা ফিরিয়েছিলেন নিউক্যাসলের ফরোয়ার্ড গেলফি সিগুর্ডসন। আরো একটি ড্রয়ের আশঙ্কাই হয়তো ভর করেছিল ম্যানইউ সমর্থকদের মনে। কিন্তু ৭৭ মিনিটে গোল করে দলকে জয় এনে দেন ওয়েইন রুনি।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে আর্সেনালও জিতেছে শেষপর্যায়ের গোলে। ৭২ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছিলেন লরেন্ত শেজনি। ম্যানচেস্টার সিটিকেও জিততে হয়েছে বেশ কষ্ট করে। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে ৫৫ মিনিটের মাথায় আলেক্সান্ডার কোলারোভের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানসিটি। ৮০ মিনিট পর্যন্ত তারা পিছিয়ে ছিল এই এক গোলের ব্যবধানে। হার বা ড্রয়ের আশঙ্কা ভর করলেও শেষ পর্যন্ত জয়ের উল্লাস নিয়েই মাঠ ছাড়তে পেরেছে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার অন্যতম প্রধান দাবিদার। ৮২ ও ৮৪ মিনিটে দুটি গোল করে ম্যানসিটিকে জয় এনে দিয়েছেন ইয়াইয়া তোরে ও সার্জিও অ্যাগুয়েরো।
প্রিমিয়ার লিগের ২০ ম্যাচ শেষে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল। ৪০ ও ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে লিস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার সিটি। ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।