বাফুফেকে মনজুর কাদেরের হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের সভাপতি মনজুর কাদেরের বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এই দ্বন্দ্ব আরো বড় আকার ধারণ করেছে দলবদল নিয়ে জটিলতায়। মনজুর কাদেরের দাবি, কয়েকজন খেলোয়াড় চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেওয়ার আগে শেখ জামালের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন। তাই বাফুফের প্রতি হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাফুফে এই সমস্যার সমাধান করতে না পারলে এবং তাদের খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে দিতে না পারলে শেখ জামাল এবারের এএফসি কাপে খেলবে না।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ মে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ভিত্তিতে এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের ১৬টি ক্লাবকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এএফসি কাপ। প্লে-অফ পর্ব না খেলেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল প্রতিযোগিতার মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ক্লাব সভাপতির হুঁশিয়ারির কারণে শেখ জামালের এএফসি কাপে অংশগ্রহণ এখন অনিশ্চিত।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মনজুর কাদের বলেন, ‘জাতীয় দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেওয়ার আগে আমাদের কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা করে অগ্রিম নিয়েছে। তার প্রমাণ আমরা বাফুফেকে দিয়েছি। কিন্তু বাফুফে এর সমাধান করতে পারছে না। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তারা আমাদের খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে দিতে না পারলে আমরা এএফসি কাপে খেলব না।’
শেখ জামালের সাফল্যে বাফুফে কর্মকর্তারা ঈর্ষান্বিত বলে দাবি করে তাঁর মন্তব্য, ‘বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী চাচ্ছেন না শেখ জামাল ভালো দল গঠন করুক এবং চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হোক। তাঁরা আমাদের এগিয়ে যাওয়া দেখে ঈর্ষা করছেন। আমার ধারণা, তাঁরা চাচ্ছেন না যে ফুটবলে তৃতীয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক শেখ জামাল।’
বাফুফের চেয়ারে বসে কর্মকর্তারা ব্যবসা করছেন বলেও অভিযোগ করেন মনজুর কাদের, ‘বাফুফের বর্তমান কমিটির অধীনে ফুটবলের কোনো উন্নতিই হচ্ছে না। কর্মকর্তারা বরং এখানে বসে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। এটা ফুটবলের জন্য খুবই ক্ষতিকর।’