ইতিহাসের পাতায় মাহমুদউল্লাহ
বিশ্বকাপে একটা সেঞ্চুরির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১০৩ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু রানক্ষুধা মেটেনি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহকে শেষ পর্যন্ত আউট করতে পারেননি সাউদি-বোল্ট-ভেট্টরিরা। ১২৮ রানে অপরাজিত থেকে তিনি আজ ইতিহাসের পাতায়। অসাধারণ ইনিংসটার সুবাদে সতীর্থদের প্রিয় ‘রিয়াদ’ এখন এই বিশ্বকাপের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। বাংলাদেশের অন্যতম ব্যাটিং ভরসার রান ৩৪৪। ৪৯৬ রান নিয়ে সবার ওপরে আছেন শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে টানা দুটি শতক করার কীর্তি আগেও ছিল। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ১২৩ ও ১০৫ রান করেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। দুটোতেই অপরাজিত ছিলেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহর কৃতিত্ব অবশ্য অনেক বেশি। তাঁর টানা দুটো শতক এসেছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপে। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে ১২৩ বলে ১২৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসটা গড়ে উঠেছে ১২টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
এবারের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে মাহমুদউল্লাহর শতকের মাহাত্ম্য ভালোভাবে বোঝা যাবে। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, ড্যানিয়েল ভেট্টরিদের নিয়ে গড়া কিউইদের দুর্দান্ত বোলিং সামলে আগের পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করতে পারেননি। পুরো ৫০ ওভারও ব্যাট করতে পারেনি কোনো দল। অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৫১ রানে। ইংল্যান্ড ডুবেছিল ১২৩ রানে অলআউটের লজ্জায়। আর মাহমুদউল্লাহর শতকের ওপরে ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৮৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়তে পেরেছে।