শেষ শয্যায় মার্টিন ক্রো

Looks like you've blocked notifications!

বিশ্ববিখ্যাত ভাইয়ের মৃত্যুর সময় জেফ ক্রো ছিলেন ঢাকায়, এশিয়া কাপে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করতে। শুক্রবার মার্টিন ক্রোর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অবশ্য উপস্থিত ছিলেন বড় ভাই জেফ। ছিলেন মার্টিন-জেফের চাচাতো ভাই, অস্কারজয়ী অভিনেতা রাসেল ক্রোও। অকল্যান্ডে হাজারো মানুষের শ্রদ্ধায় শেষ শয্যা নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে গত ৪ মার্চ জীবনাবসান হয় মার্টিন ক্রোর। শুধু অসাধারণ ব্যাটসম্যানই নয়, অধিনায়ক হিসেবে ক্ষুরধার ক্রিকেট-মস্তিষ্কের ব্যবহারে খেলাটিতে অনেক বৈপ্লবিক আবিষ্কারের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। আবেগঘন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় নিউজিল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী হাকা নৃত্যও ছিল। অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলের একদল শিক্ষার্থী এই নৃত্যের ছন্দে শ্রদ্ধা জানিয়েছে কিউই-কিংবদন্তিকে। মার্টিন ক্রো পড়তেন এই স্কুলেই।

ছোট ভাইয়ের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জেফ ক্রো। উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ওয়াসিম আকরাম আমাকে বলছিলেন, মার্টিনই ছিল তাঁর বিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যান। এর চেয়ে বড় প্রশংসা আর হতেই পারে না। সত্যিই, কী বিশাল অনুপ্রেরণাই না সে ছিল আমাদের জন্য!’

ক্রিকেট মাঠে মার্টিন ক্রোর তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও মাঠের বাইরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অ্যালান বোর্ডার। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে। তবে লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছেন। সেই বক্তব্য পড়ে শুনিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক উইকেটরক্ষক ইয়ান স্মিথ। বোর্ডার লিখেছেন, ‘ক্রিকেট তাঁর একজন প্রবাদপ্রতিম খেলোয়াড়কে হারাল। তাঁকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব। তাঁকে মিস করব ঠিকই, কিন্তু কখনো ভুলব না। তিনি একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’

রাসেল ক্রো কিছু বলেননি। তবে সপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। গাড়ি থেকে কবর পর্যন্ত কফিন বহনও করেছেন তিনি।

ইয়ান স্মিথ অবশ্য বক্তব্য রেখেছেন। দীর্ঘদিনের সতীর্থ সম্পর্কে বলতে গিয়ে আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে দেখা হলেও স্মিথ জানিয়েছেন, ব্যাট হাতে মার্টিন ক্রোর লড়াকু চেহারাই আজীবন মনে রাখবেন তিনি, ‘আমি তাঁকে অন্য কোনোভাবে মনে রাখতে চাই না। আমি সব সময় তাঁকে ক্রিজে একজন অসাধারণ ব্যাটসম্যান হিসেবে মনে রাখব। সেই সাদা হেলমেটের ওপরে রুপালি ফার্ন....যাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসে বোলারের পেছন দিয়ে মারা সবচেয়ে নিখুঁত স্ট্রেট ড্রাইভে চার।’