ব্রাজিল-উরুগুয়ের রোমাঞ্চকর ড্র
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/03/26/photo-1458973848.jpg)
গত বিশ্বকাপের সেই কামড়-কাণ্ডের পর থেকে আন্তর্জাতিক ফুটবলের বাইরে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। ফিরলেন ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে। আর ফিরেই তিনি উরুগুয়ের পরিত্রাতা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও সুয়ারেজের লক্ষ্যভেদে ব্রাজিলের মাঠ থেকে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফিরেছে উরুগুয়ে। শেষ মুহূর্তে সুয়ারেজ সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো তিন পয়েন্ট নিয়েই ঘরে ফিরত অতিথিরা।
ইতালির জর্জো কিয়েল্লিনিকে কামড় দেওয়ার অপরাধে নয় ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছিলেন সুয়ারেজ। বিশ্বকাপের পর বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে লিওনেল মেসি আর নেইমারের সঙ্গে দুর্ধর্ষ আক্রমণভাগ গড়ে তুললেও জাতীয় দলের বাইরেই থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। তবে প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রেখেছেন সমতাসূচক গোল করে।
ঘরের মাঠে ব্রাজিলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। রেসিফের গ্যালারিতে দর্শকরা ভালোমতো গুছিয়ে বসার আগেই ম্যাচের প্রথম গোল। ডানদিক থেকে নেওয়া উইলিয়ানের একটি ক্রস চলে এসেছিল উরুগুয়ের গোলমুখে। দুজন ডিফেন্ডারের মাঝখানে থাকা ডগলাস কস্তার চতুর টোকায় বল চলে যায় পোস্টে। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৩৯ সেকেন্ড!
২৬ মিনিটে আবার পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের গোলের উল্লাস। এবারের গোলটির নির্মাতা সুয়ারেজের বার্সেলোনা সতীর্থ নেইমার। ব্রাজিল অধিনায়কের চমৎকার লং পাস বিপদমুক্ত করতে পারেননি উরুগুয়ের এক ডিফেন্ডার। বক্সের মধ্যে বল পেয়ে, গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ব্যবধান ২-০ করতে সমস্যা হয়নি রেনাতো অগুস্তোর।
ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টা ব্রাজিলের এতটাই প্রাধান্য ছিল যে উরুগুয়ে একটি আক্রমণও করতে পারেনি। তবে ৩১ মিনিটে প্রথম আক্রমণেই গোল পেয়ে যায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বাঁ দিক থেকে আলভারো পেরেইরার উঁচু করে নেওয়া ক্রস এসে পড়েছিল ব্রাজিলের গোলমুখে। পোস্টের দিকে পেছন ফিরে থাকা কার্লোস সানচেজ হেড করে বল বাড়িয়েছিলেন এডিনসন কাভানিকে। কাভানির বাঁ পায়ের জোরালো শট কমিয়ে দিয়েছে ব্যবধান।
এরপরই সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে অতিথিরা। যার সুফল আসে ৪৮ মিনিটে। পেরেইরার পাস থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে উরুগুয়েকে সমতার আনন্দে মাতিয়ে তোলেন সুয়ারেজ। শেষ বাঁশির মিনিট পাঁচেক আগে দলকে জয়ও এনে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু বার্সা তারকার প্রচেষ্টা দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন। তবু দলের পারফরম্যান্সে সুয়ারেজ খুশি। ম্যাচশেষে তিনি বলেছেন, ‘সবসময়ের মতো আজো আমরা দৃঢ়তা দেখিয়েছি।’
জিততে না পারলেও লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে উরুগুয়ে। তাদের পয়েন্ট ১০। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইকুয়েডর। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে তিন দলেরই সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট করে। তবে গোলগড় ব্রাজিলকে তৃতীয়, প্যারাগুয়েকে চতুর্থ আর আর্জেন্টিনাকে রেখেছে পঞ্চম স্থানে। প্রতিটি দলই পাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছে।