সুয়ারেজের জোড়া গোলে বার্সার স্বস্তির জয়
ঠিক তিন দিন আগে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হার মেনেছিল বার্সেলোনা। মঙ্গলবার রাতে সেই ঘরের মাঠেই আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়ে সমর্থকদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল কাতালান পরাশক্তিরা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে সব শঙ্কা দূর করে বার্সাকে দারুণ এক জয় এনে দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। উরুগুয়ের তারকা স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে শেষ চারের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেছে প্রতিযোগিতার গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
ন্যু ক্যাম্পে দুই স্প্যানিশ পরাশক্তির লড়াইয়ে শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। কিন্তু স্বাগতিকদের আক্রমণগুলো কিছুতেই যেন দানা বাঁধছিল না। কখনো মেসির ভলি, কখনো দানি আলভেসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে হতাশ করছিল বার্সা সমর্থকদের।
হতাশা বহু গুণ বেড়ে যায় ২৫ মিনিটের সময়। খেলার ধারার বিপরীতে, ম্যাচের প্রথম আক্রমণ থেকেই গোল পেয়ে যায় আতলেতিকো। কোকের বাড়িয়ে দেওয়া পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তোরেস। কিন্তু ১০ মিনিট পরই ‘অ্যান্টি ক্লাইম্যাক্স’। সার্জিও বুস্কেটসকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান তোরেস। ১০ জনের আতলেতিকোর বিপক্ষে অবশ্য বিরতির আগে গোলের দেখা পায়নি বার্সা। প্রতিপক্ষের দুর্ধর্ষ আক্রমণভাগকে মুঠোয় পুরে রেখে, ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আতলেতিকোকে চেপে ধরেছে বার্সেলোনা। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বারবার বেঁচে যাচ্ছিল অতিথিরা। ৫০ মিনিটে নেইমারের ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে অসাধারণ এক ওভারহেড কিক নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু বল চলে যায় সাইডবার ঘেঁষে। দুই মিনিট পর আবার বার্সার হতাশা। নেইমারের চমৎকার শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
নেইমারের আরো দুটো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর ৬৩ মিনিটে গোলের দেখা পায় গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ীরা। পরিকল্পিত এক আক্রমণ থেকে সমতা নিয়ে আসেন লুইস সুয়ারেজ। ৭৪ মিনিটে আবার সুয়ারেজের গোলের উল্লাস। দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে বার্সা-ভক্তদের আনন্দে ভাসিয়ে দেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার। আর এ গোলই জয় নিশ্চিত করে দেয় বার্সেলোনার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের অন্য ম্যাচে স্বাগতিক বায়ার্ন মিউনিখ ১-০ গোলে হারিয়েছে পর্তুগালের পোর্তোকে। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের জয়সূচক গোলদাতা আর্তুরো ভিদাল।