ভল্ফসবুর্গকে নিয়ে জিদানের দুশ্চিন্তা
গত শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ দারুণ উজ্জীবিত। এল ক্লাসিকো জয়ের অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ রাতে আবার মাঠে নামছে স্পেনের সবচেয়ে সফল দল। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়ালের প্রতিপক্ষ ভল্ফসবুর্গ। জার্মান ক্লাবটি ইদানীং একদমই ছন্দে নেই। তবু ভল্ফসবুর্গের মাঠে নামার আগে ভীষণ সতর্ক রিয়ালের কোচ জিনেদিন জিদান।
গত শনিবার বার্সার মাঠে ২-১ গোলে জিতে লা লিগার শিরোপা লড়াই কিছুটা হলেও জমিয়ে তুলেছে রিয়াল। যদিও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে এখনো তাদের ব্যবধান ৭ পয়েন্ট। ঘরোয়া লিগে পিছিয়ে পড়লেও চ্যাম্পিয়নস লিগে জিদানের দলের দারুণ পারফরম্যান্স এ মৌসুমে। ইউরোপের সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতায় এবার এখনো পর্যন্ত দুটো দলই অপরাজিত আছে—বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। অন্যদিকে জার্মান বুন্দেসলিগায় বেশ দুরবস্থা ভল্ফসবুর্গের। অষ্টম স্থানে নেমে যাওয়া দলটি লিগের সর্বশেষ তিন ম্যাচের দুটোতেই হেরে গেছে, ড্র করেছে অন্যটি।
তবু ভল্ফসবুর্গকে নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় জিদান। ২০০২ সালে রিয়ালের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের নায়কের কণ্ঠে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভীষণ শ্রদ্ধা, ‘এটা একটা জটিল ম্যাচ হতে যাচ্ছে। ভীষণ কঠিন ম্যাচ। এই পর্যায়ে যে কোনো দল নিজেদের রূপান্তর ঘটাতে পারে। এমনকি ঘরোয়া লিগে সমস্যায় থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে ভিন্ন চেহারায় দেখা যেতে পারে তাদের। এটা খেলোয়াড়রা যেমন জানে, তেমনি ক্লাবও জানে। ওরা (ভল্ফসবুর্গ) শারীরিকভাবে সক্ষম আর দ্রুত আক্রমণ করতেও পারদর্শী।’
গত জানুয়ারিতে রাফায়েল বেনিতেজের উত্তরসূরি হিসেবে রিয়ালের কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন জিদান। রিয়ালের কোচ হিসেবে ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ের নায়কের অভিজ্ঞতা অম্ল-মধুতে মেশানো।
সবচেয়ে মধুর অভিজ্ঞতা অবশ্যই বার্সার বিপক্ষে জয়। তবে চারদিন আগের ওই জয় যেন শিষ্যদের মনে আত্মতুষ্টি এনে না দেয় সে জন্য ‘জিজু’র সতর্কবার্তা, ‘(চ্যাম্পিয়নস লিগের) এই পর্যায়ে টিকে থাকা সব দলই ফেভারিট। আমাদের জন্য এখন প্রতিটি ম্যাচই ফাইনাল। এই ম্যাচ তো বটেই। আপনি কোনো ম্যাচ জিতে নির্ভার মানসিকতা নিয়ে পরের ম্যাচ খেলতে নামলে তার জন্য বিশাল মূল্য দিতে হতে পারে। আমাদের শুধু মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে। আমার খেলোয়াড়রা লক্ষ্যের প্রতি অবিচল আর এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’